আগে ব্যাট করে ৩০৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে এ সংগ্রহ পায় মোহামেডান।
আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছিল তামিমহীন মোহামেডান। আর প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছিল কলাবাগান।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি তামিম। প্রথমবারের মতো এবারের আসরে মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। সেটিও আবার কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় মোহামেডান ও কলাবাগান। আর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। ওপেনার শামসুর রহমান ৩৮ রানে বিদায় নিলেও সে সময় ১৫.৪ ওভারে ৭৩ রান তোলে দলটি। এরপর অবশ্য দ্রুতই রনি তালুকদার (২০), রাকিবুল হাসান (৭) ও রহমত শাহ (৮) ফিরে যান।
কিন্তু উইকেটে অবিচল থাকেন অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা তামিম। অসাধারণ ফর্মে থাকা এ তারকা তুলে নেন সেঞ্চু্রি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে ১০৩ বলে ১৩ চার দুই ছক্কা হাঁকান তিনি। সঞ্জিত শাহ’র বলে আউট হওয়ার আগে তামিম খেলেন ১৫৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। মাত্র ১২৫ বলে ১৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান ড্যাশিং এ ব্যাটসম্যান। ২১ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
সঞ্জিত ১০ ওভারে ৫২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলী। ৫ ওভারে ৫২ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি আশরাফুল।
৩০৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কলাবাগানের ওপেনার জসিমউদ্দিন ব্যক্তিগত ১১ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার ও দলপতি মোহাম্মদ আশরাফুল ৪৬ রানে বিদায় নেন। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারির মার। তিন নম্বরে নামা জিম্বাবুইয়ান তারকা ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাদজা করেন ৬৮ রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মের তুঙ্গে থাকা তুষার ইমরান করেন ৬১ বলে ৬৪ রান।
মিডলঅর্ডারের আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় স্কোর করতে পারেননি। মেহরাব হোসেন জুনিয়র ১০, তাসামুল হক ১১, আবুল হাসান ১০ রানে বিদায় নেন। মুক্তার আলি ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মোহামেডানের কামরুল ইসলাম রাব্বি তিনটি আর মেহেদি হাসান মিরাজ দুটি উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি