ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই নিজের রাজত্ব দেখিয়েছেন গেইল। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আসার পর যেন খেলাটি তারই হয়ে গেছে।
এই ম্যাচের আগে সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ছোট্ট ইতিহাসে তিনিই তিনিই সেরা ব্যাটসম্যান। বছরের পর বছর ধরে মাতিয়ে আসছেন ক্রিকেট বিশ্বের নানা প্রান্ত। ম্যাচের পর ম্যাচ তুলোধুনো করেছেন বোলারদের। বিস্ফোরক ব্যাটিংকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়।
শুধু ১০ হাজারে প্রথম ব্যাটসম্যান বলেই নয়, টি-টোয়েন্টিতে তার রেকর্ড প্রায় সব দিক থেকেই বলা যায় অতিমানবীয়। ১০ হাজার কেন, টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজার রানও নেই আর কারও। ৭ হাজার ৫২৪ রান নিয়ে দুইয়ে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম।
তার ১৮ সেঞ্চুরির ধারেকাছেও নেই কেউ। এখন অনেকটা পেছনে থেকে দুইয়ে ম্যাককালাম, সেঞ্চুরি ৭টি। গেইলের ৬০টি অর্ধশতকও টি-টোয়েন্টির রেকর্ড।
প্রায় এক যুগের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার বিবেচনায় তার ৪০.৪৭ গড় ও ১৪৯.২০ স্ট্রাইক রেট একরকম অবিশ্বাস্য। ক্যারিয়ারে ছক্কা ও চার মারার পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি। ৭৬৪টি মেরেছেন চার, ছক্কা ৭৩৬টি। বিশ্বরেকর্ড এই দুটিও।
১০ হাজারের মাইলস্টোন ছোঁয়ার আগেই টি-টোয়েন্টিতে অনেক রেকর্ডের মালিক তিনি। তিনিই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী। তার সঙ্গে রয়েছে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (১৮) ও সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরির (৬০) রেকর্ড। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ রান (১৭৫) তারই। যৌথভাবে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তারই দখলে। ১২ বলে ৫০ রান করেছিলেন বিগব্যাশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
এমএমএস