কখনো কখনো পিসিবির মতে, দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি হচ্ছে না। আবার কখনো জানানো হচ্ছে, সিরিজটি বাতিল হয়নি, স্থগিত হয়েছে।
পিসিবি চেয়ারম্যান আরও জানান, ‘এই ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কিছুদিনের মধ্যেই চিঠি পাঠানো হবে। চিঠিতে সফর নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থান বিস্তারিত জানানো হবে। ’
তবে উল্লেখ করার মতো হলো, বিষয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চাউর হলেও বিসিবি এখনও এই মর্মে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ঘোষণা পায়নি। সঙ্গত কারণেই ট্যুর বাতিল প্রসঙ্গে এখনই পাকিস্তানের সাথে আলোচনার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিসিবি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সফর বাতিল হয়ে যায় তাহলে তাদের সাথে আলোচনায় বসবে বিসিবি।
এফটিপি অনুযায়ী এটা বাংলাদেশের সিরিজ হওয়ার কথা, পাকিস্তানের নয়। কারণ, ২০১৫ সালে পিসিবির সাথে বিসিবির যে চুক্তি হয়েছিল তাতে পরের দুইটি সিরিজ বাংলাদেশ আয়োজন করবে বলে জানানো হয়েছিল। সে হিসেবে এই আয়োজনটা বাংলাদেশের প্রাপ্য।
পাকিস্তানে গিয়ে বাংলাদেশ এর আগে খেলতে রাজি না হওয়ায় একটা অর্থনৈতিক ইস্যুও ছিল। সেটাও মেনে নিয়ে পিসিবিকে আর্থিক জরিমানা দিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সে সময় বলা হয়েছিল পাকিস্তান ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকাতেই খেলবে। অথচ পিসিবি মিডিয়ায় বলে বেড়াচ্ছে তারা বাংলাদেশে ট্যুর করবে না। কথিত আছে ২০১১-১২ মৌসুমে একবার ও ২০১৫ সালে বিসিবির কাছ থেকে ৩২৫,০০০ মার্কিন ডলার নিয়ে পাকিস্তান দল বাংলাদেশ সফরে আসে।
সাংবাদিকদের শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শেষ দু’বার সফর করেছিলাম। এবার তাদের পাকিস্তানের আসতে হতো, নয়তো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে খেলতে হতো। আমিরাতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোটা আমাদের জন্য অনেক খরচের ব্যাপার ছিল। তবে আমরা নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কাকেও মাথায় রেখেছিলাম। কিন্তু সে সময় তাদের নিজেদেরই হোম সিরিজ ছিল। টানা তৃতীয়বার সেখানে খেলতে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। ফলে আমরা সিরিজটি স্থগিত করতে বাধ্য হই। ’
বাংলাদেশ দল ২০০৭-০৮ মৌসুমে শেষবার পাকিস্তান সফর করেছিল। ওই সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল। তবে, গত ওয়ানেডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ০২ মে ২০১৭
এমআরপি