১৯৯৮ সালের প্রথম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরটি আয়োজনের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ না থাকায় আয়োজক হয়েও খেলার সুযোগ পায়নি টাইগাররা।
পরের বার কেনিয়ায় ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়েই খেলতে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাছাই পর্বের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে পারেনি দলটি।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাতটি আসরের মধ্যে চারবার অংশ নিয়ে বাছাইপর্ব ও মোট ম্যাচ মিলিয়ে আটটি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। সর্বশেষ খেলা ২০০৬ সালে ভারতের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এবারের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। আইসিসির ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান সপ্তম। যেখানে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলও নিচে রয়েছে।
নিচে দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিশেষ কীর্তিগুলো:
• চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলা আট ম্যাচের প্রতিটিতেই খেলেছেন, সাবেক দুই তারকা খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ রফিক।
• দল হিসেবে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল। সেবার নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে লঙ্কানদের ৩০২ রান তাড়া করতে তা যথেষ্ঠ ছিল না।
• এই টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস। মাত্র তিন ম্যাচে তিনি ১৬৬ রান করেছেন।
• চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানও নাফিস। ২০০৬ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
• নাফিস চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও গড়েন। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডজের বিপক্ষে আফতাব আহমেদকে নিয়ে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি।
• দল হিসেবে বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। নাফিস, সাকিব, আফতাব ও ভাভেদ ওমর একটি করে হাফসেঞ্চুরি করেছেন।
• বোলার হিসেবে মোহাম্মদ রফিক সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট শিকার করেছেন।
• তবে ম্যাচে বোলিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স সাকিবেরই। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
• রফিক সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেও এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়ছেন আব্দুর রাজ্জাক। ২০০৬ সালে তিনি চারটি উইকেট দখল করেছেন।
এবারের আসরে বাংলাদেশ থাকছে গ্রুপ ‘এ’তে। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ১ জুন ইংলিশদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ০৩ মে, ২০১৭
এমএমএস