এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি দোষী নই, আমি ছিলাম একদিনের অধিনায়ক। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
কিন্তু, বিসিবির দৃষ্টিতে ফয়সালও ‘দোষী’। লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদ আম্পায়ারদের ওপর রাগ করে ৪ বলে খরচ করেন ৯২ রান। যা বিশ্ব মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। শৃঙ্খলা-বহির্ভূত এমন লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে বোলার সুজনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। দায় ঘাড়ে নিতে হয়েছে অধিনায়ক ফয়সালকেও। তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ঘটনার তদন্ত করে শুধু বোলার কিংবা অধিনায়ক নন, কোচ-ম্যানেজার ও ক্লাবকেও বড় শাস্তি দিয়েছে বিসিবি। এ ঘটনায় দুই ক্লাবকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিসিবিতে এসে লালমাটিয়া অধিনায়ক জানান, ‘আমি দলের অধিনায়ক ছিলাম না। হঠাৎ করেই আমাকে একদিনের জন্য অধিনায়ক বানানো হয়। অথচ আমি কিছুই জানতাম না। মাঠে আমার নিয়ন্ত্রণে কিছুই ছিল না। সুজনকে এগুলো করতে বারণ করেছিলাম, সে আমার কথা শোনেনি। ওভার শেষ না হওয়ায় আমি অন্য বোলারকেও আনতে পারছিলাম না। ’
নিয়মিত অধিনায়ক প্রসঙ্গে ফয়সাল জানান, ‘দলের নিয়মিত অধিনায়ক নিলয়। সেদিন নিলয় ইনডোরে ইউনিভার্সিটি টুর্নামেন্টের খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ’
ক্ষমা চেয়ে বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে ফয়সাল জানান, ‘এখানে আসার উদ্দেশ্য একটাই, যেহেতু আমি কিছু জানতাম না, জড়িত নই তাই বোর্ড যেন আমাকে ক্ষমা করে। খেলা চলার সময় আমি নিজেও বুঝতে পারিনি, এত বড় কিছু হয়ে যাবে। বোর্ড যেন আমাকে ক্ষমা করে খেলার সুযোগ করে দেয়। ক্রিকেট নিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে বলেই এখানে আসছি। না হলে আসতাম না। ক্ষমা চেয়ে চিঠি জমা দিয়েছি। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ০৭ মে ২০১৭
এমআরপি