বিষয়টি শুধু এখানেই থেমে নেই। এর সুস্পষ্ট একটি প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারেও।
ফলে বোর্ডগুলোও নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে যথেষ্টই স্থবিরতার পরিচয় দিচ্ছে। সমস্যাটি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ভারত, ইংল্যান্ড ও আইসিসি’র স্থায়ী অন্যান্য সদস্যদের ক্ষেত্রেও বিদ্যমান। সঙ্গত কারণেই আজ ‘অস্তিত্ব সংকটের’ মুখে নারী ক্রিকেট।
আর নারী ক্রিকেটের এমন সমস্যা সমাধানে নড়েচড়ে বসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। ছেলেদের ক্রিকেটের অনুরুপ বিশ্বব্যাপী নারী ক্রিকেটেরও একটি নিজস্ব পরিচিতি এনে দিতে নতুন নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে আইসিসি’র দুই দিনের এক কর্মশালা। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্টের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিসিবিতে সেই কর্মশালার কথাই তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে। কর্মশালায় নারী ক্রিকেটকে স্বতন্ত্র রুপ দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপের কথা উল্লেখ করে ফাহিম বললেন, এখনও মনে করা হয় যে নারী ক্রিকেট হলো ছেলেদের ক্রিকেটের বর্ধিতাংশ। ওদের নিজস্ব একটি পরিচিতি দরকার। এটি ছাড়া নারী ক্রিকেটকে বাঁচানো যাবে না। সবার মনে রাখা উচিত নারী ক্রিকেট একটি আলাদা বিষয়। সেটা সবার প্রথমে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরি। আমরা সাধারণত ছেলেদের ক্রিকেট যে চোখে দেখি সেই চোখেই নারী ক্রিকেট দেখতে চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা উচিত নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কীভাবে আমরা তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও উন্নতি করতে পারি, তাদের কোন ফর্মেটকে উতসাহিত করতে পারি সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। মেয়েদের জন্য আলাদা নারী কোচের ব্যবস্থা করা, তাদের আলাদাভাবে কোচিংয়ে নিয়ে আসা, নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা তৈরী করার বিষয়ও ছিল। তাছাড়া তাদের বল কেমন হতে পারে, তাদের জন্য আলাদা ক্রিকেট সামগ্রী তৈরী করা যায় কী না এমন সব বিষয়ের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কর্মশালায় নারী ক্রিকেটের টেকশই উন্নয়নের বিষয়টিও আলোচনা এসেছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্ট প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ৯ মে, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম