ডাবলিনে আগামী শুক্রবার (১৯ মার্চ) পরবর্তী ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টিম বাংলাদেশ। যথারীতি খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায়।
ওপেনার টম ল্যাথাম ও জিমি নিশামের অর্ধশতক আর নেইল ব্রমের ৪৮ রানের ইনিংসে সহজেই জয় তুলে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮০ রান তুলে বাংলাদেশের জয়ের আশা ভেস্তে দেন ব্রম ও নিশাম।
দু’জনের পার্টনারশিপ ভাঙেন রুবেল হোসেন। দলীয় ২২৭ রানে এলবিডব্লুর শিকার হন ব্রম। জয় থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে ম্যাচসেরা নিশামকে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে উইকেটের খাতায় নাম লেখান মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সপ্তম ওভারের মাথায় ল্যাথাম-রনকির ওপেনিং জুটি (৩৯) ভেঙ্গে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লুক রনকি (২৭)। ৮০ রানের মাথায় দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউটের ফাঁদে পড়েন জর্জ ওয়ার্কার (১৭)।
কিউই অধিনায়ক ল্যাথামকে (৫৪) ফিরিয়ে দলে স্বস্তি এনে দেন রুবেল। ২১তম ওভারে রুবেলের দুর্দান্ত ডেলিভারি ল্যাথামের ব্যাট ছুঁয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে আটকা পড়ে। দলীয় ১১০ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। রস টেইলরকে (২৫) এলবিডব্লু করে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন মোস্তাফিজ। নেইল ব্রমের সঙ্গে তার পার্টনারশিপে আসে ৩৭।
মোস্তাফিজ ও রুবেল দু’টি করে উইকেট লাভ করেন। বাকি উইকেটটি মাশরাফির।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতার লক্ষ্যটা দীর্ঘায়িত হলো। বুধবার (১৭ মে) ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তাসকিন আহমেদের জায়গায় একাদশে ফেরেন অধিনায়ক মাশরাফি।
সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তিন অর্ধশতকে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৬১ রানের জুটিতে লড়াকু স্কোরের ভিত গড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ।
অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৪৮তম ওভারে হামিশ বানেটের বলে সেথ রাঞ্চির তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে তিনটি উইকেটের পতন ঘটে। ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন মোসাদ্দেক। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ ও রানআউটের ফাঁদে পড়েন মাশরাফি বিন মর্তুজা (১)।
ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। ৭২ রানের মাথায় বিদায় নেন তামিম (৪২ বলে ২৩)। তামিমের পর মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে দলকে চাপের মুখে ফেলেন সাব্বির রহমান। অপর প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে জেমস নিশামের বলে কলিন মুনরোর হাতে ধরা পড়েন তামিম। পরের ওভারেই স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে হতাশায় ডোবেন সাব্বির।
দলীয় ১৩২ রানে ইশ সোধির বলে মিড-অফে জেমস নিশামের ক্যাচবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব অাল হাসান (৬)। তার আগে ২৫তম ওভারে সোধির প্রথম শিকারে পরিণত হন সৌম্য (৬১)। সুইপ করতে গিয়ে টম ল্যাথামের ক্যাচে পরিণত হন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার পার্টনারশিপ থামে ৩৮ রানে।
অর্ধশতক হাঁকিয়ে জিমি নিশামের বলে লুক রনকির গ্লাভসে আটকা পড়েন মুশফিক (৫৫)। ১৮১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা। আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
কিউই বোলারদের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন পেসার হামিশ বানেট। জিমি নিশাম ও লেগস্পিনার ইশ সোধি নেন দু’টি করে। বাকি উইকেটটি নেন আরেক স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ১২ মে’র উদ্বোধনী ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। অন্যদিকে, তিনদিন আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে ৫১ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০১৭
এমআরএম