শুক্রবার (১৯ মে) ডাবলিনে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪৬.৩ ওভার ব্যাট করে ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় আইরিশরা।
বোলিংয়ে টাইগারদের নায়ক মোস্তাফিজ হলেও ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ফিল্ডিংয়ে নেমেই সফল হয় বাংলাদেশ। লাল-সবুজদের হয়ে বোলিংয়ের উদ্বোধন করেন পেসার রুবেল হোসেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম কোনো ওয়ানডেতে দলের প্রথম ওভার করার সুযোগ পান রুবেল। প্রথম ওভারেই তিনি মেডেন তুলে নেন। আইরিশদের হয়ে ব্যাটিংয়ের শুরু করেন এড জয়েস ও পল স্টারলিং। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন স্টারলিংকে। সাব্বিরের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি কোনো রানই করতে পারেননি।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে মাশরাফির বলে ক্যাচ তুলে দেন পোর্টারফিল্ড। উইকেটের পাশে দাঁড়ানো মোসাদ্দেক সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি। পরের ওভারেই মাশরাফি বল তুলে দেন মোসাদ্দেকের হাতে। নিজের প্রথম ওভারেই সেই পোর্টারফিল্ডকে ফেরান মোসাদ্দেক। ২২ রান করা পোর্টারফিলল্ডকে ফেরাতে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের ১৫তম ওভারে সাকিব বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন অ্যান্ডি বালবির্নিকে (১২)।
ইনিংসের ২৮তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে নায়াল ও’ব্রায়েন (৩০) তামিমের হাতে ধরা পড়েন। দলীয় ১১৬ রানের মাথায় আইরিশরা চতুর্থ উইকেট হারায়। এরপর ফেরেন এড জয়েস। অভিষেক ম্যাচেই উইকেটের দেখা পান সাঞ্জামুল। এড জয়েস তামিমের হাতে ধরা পড়ার আগে করেন ৭৪ বলে ৪৭ রান। নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিতে মোস্তাফিজ ফেরান কেভিন ও’ব্রায়েনকে (১০)। মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন তিনি। এরপর কাটার মাস্টার ফিরিয়ে দেন উইলসনকে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইলসন (৬)। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় আইরিশরা সপ্তম উইকেট হারায়।
ইনিংসের ৪৪তম ওভারে অভিষেক ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সাঞ্জামুল ইসলাম। ম্যাকার্থিকে (১২) এলবির ফাঁদে ফেলে সাঞ্জামুল নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। দলীয় ১৭১ রানের মাথায় আইরিশরা অষ্টম উইকেট হারায়। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে মাশরাফির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৫ রান করা ডকরেল। একই ওভারে ম্যাশ ফিরিয়ে দেন পিটার চেজকে। উইকেটের পেছনে আবারো অসাধারণ এক ক্যাচ নেন মুশফিক।
মোস্তাফিজ ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া, মাশরাফি ৬.৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার সাঞ্জামুল ২ উইকেট নেন ২২ রানের বিনিময়ে। একটি করে উইকেট পান সাকিব-মোসাদ্দেক।
টাইগারদের ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তুলে নেন ৯৫ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বিদায় নেন তামিম। কেভিন ও’ব্রায়েনের বলে নায়াল ও’ব্রায়েনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তামিম করেন ৪৭ রান। তার ৫৪ বলেল ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সৌম্য ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৬৮ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি আর দুইটি ওভার বাউন্ডারি। ইনিংসের ২৫তম ওভারে ৩৪ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩৫ রান করে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। সাব্বির-সৌম্য স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৭৬ রান। মুশফিক ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাঞ্জামুল ইসলাম। তাসকিনকে আবারো সাইডবেঞ্চে থাকতে হয়। আগামী ২৪ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০১৭
এমআরপি