মিসবাহর সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডোমিনিকা টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিমান ধরেছিলেন ইউনিস।
মিসবাহ-ইউনিসের বিদায়ী টেস্টে ইতিহাস সৃষ্টি করে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যা প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। ইউনিস এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমি পুরো পাকিস্তান দলকে অভিনন্দন জানাই। আমার জন্য আর মিসবাহর জন্য তারা ম্যাচ জিতেছে বলে নয়, তারা পুরো পাকিস্তানের জন্য ম্যাচ জিতেছে বলে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এটা পুরো পাকিস্তানের জন্যই গর্বের বিষয়। কারণ, আমরা দেশের জন্য খেলেছি, জয় তুলে নিয়েছি। ’
পাকিস্তান ক্রিকেটে মিসবাহ ও ইউনিসের অবদান অপরিসীম। করাচিতে ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইউনিস। পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ান মিসবাহ। টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইউনিস। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে সাদা পোশাকে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এ ডানহাতি ব্যাটিং জিনিয়াস। ১১৮ টেস্টে ৫২.০৫ গড়ে ১০০৯৯ রান করেছেন। এ ফরমেটে ৩৪টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। অর্ধশতক ৩৩টি। সাদা পোশাকের ব্যাটিং গড় যেকোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের থেকে বেশি, এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে। ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে রেকর্ড ১১টি দেশে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যান ইউনিস।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২৬৫ ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন ইউনিস। ৩১.২৪ গড়ে রানসংখ্যা ৭২৪৯। ৪৮টি ফিফটির সঙ্গে ৭ বার সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে দেখা গেছে তাকে, রান ৪৪২।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ২২ মে ২০১৭
এমআরপি