বার্মিংহামে ‘বি’ গ্রুপের আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চতুর্থ এই ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয়। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের দলপতি সরফরাজ আহমেদ।
পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির মেডেন ওভার দিয়ে শুরু করেন। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দল ভারত নির্ধারিত ৪৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তোলে। জবাবে, ওয়াহাব রিয়াজের ইনজুরিতে নামা না হলে ৩৩.৪ ওভারে বাকি সবক’টি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৬৪ রানের মাথায়।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ২৫তম ওভারে দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। শাহদাব খানের বলে আজহার আলীর তালুবন্দী হন তিনি। এর আগে ৬৫ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় তিনি করেন ৬৮ রান। ৯.৫ ওভারের পর আবারো ৩৩.১ ওভার খেলা শেষে বৃষ্টি নামে। দ্বিতীয় দফায় খেলা বন্ধ রাখা হয়। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির পর আবারো শুরু হয় ম্যাচ। ৪৮ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয় ভারতকে।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আউট হন রোহিত শর্মা। কোহলির সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে রান আউট হন ৯১ রান করা রোহিত। তার ১১৯ বলের ইনিংসে দুটি ছক্কার পাশাপাশি ছিল ৭টি চারের মার। দলীয় ১৯২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। এরপর জুটি গড়েন দলপতি বিরাট কোহলি আর সিনিয়র তারকা যুবরাজ সিং। কোহলি-যুবরাজ জুটিতে আসে ৫৮ বলে ৯৩ রান।
ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে যুবরাজ করেন ৫৩ রান। হাসান আলির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩২ বলে যুবরাজ ৮টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান। কোহলি ৬৮ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৮১ রান। শেষ ওভারে ইমাদ ওয়াসিমকে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকানো হারদিক পান্ডে ৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
৩২০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রান তোলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজহার আলী আর আহমেদ শেহজাদ। শেহজাদ ১২ রানে ফিরলেও ৬৫ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে ৫০ রান করে বিদায় নেন আজহার। তিন নম্বরে নামা বাবর আজম করেন ৮ রান। মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন শোয়েব মালিক। কোনো রান ছাড়াই ফিরতে হয় ইমাদ ওয়াসিমকে।
দলপতি সরফরাজ আহমেদ ব্যক্তিগত ১৫ রানে বিদায় নেন। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহদাব খান।
ভারতের পেসার উমেস যাদব তিনটি উইকেট দখল করেন। দুটি করে উইকেট নেন হারদিক পান্ডে আর রবীন্দ্র জাদেজা। ভুবনেশ্বর কুমার একটি উইকেট পান।
ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৭২টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। আর ভারতের সুযোগ হলো ৫২ বার। দু’দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমখি হয়েছে। যেখানে পাকিস্তান দুটি জয়ের বিপরীতে হেরে গেল দুটিতে। ২০০৪ ও ২০০৯ আসরে জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালের পর ভারত দ্বিতীয়বার জয় তুলে নিল। এই টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়া দু’বার শিরোপা ঘরে তোলে। তবে এখনও ভাগ্যে ট্রফির লিখন হয়নি পাকিস্তানের। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও খেলা হয়নি তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ০৫ জুন ২০১৭
এমআরপি