আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দল ভারত নির্ধারিত ৪৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তোলে। জবাবে, ওয়াহাব রিয়াজের ইনজুরিতে নামা না হলে ৩৩.৪ ওভারে বাকি সবক’টি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৬৪ রানের মাথায়।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে বৃষ্টির জন্য পাকিস্তানের ইনিংস দেরিতে শুরু হওয়ার টার্গেট ছিল ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ১২৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে।
এমন হারকে ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি ইমরান। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক একাধিক টুইট করেছেন। জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের এই পারফরমেন্সে আমি ব্যথিত। একজন স্পোর্টসম্যান হিসেবে এটা বুঝি যে, ম্যাচে হার-জিত খেলারই অংশ। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই না করেই গুঁড়িয়ে গেল পাকিস্তান। এটা আমার জন্য সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক।
অথচ ভারতের বিপক্ষে লড়াই করার মতো দলে প্রতিভার অভাব নেই বলে মনে করেন ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা, ‘দলে লড়াই করার মতো প্রতিভা আছে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিকাঠামো ঢেলে না সাজালে ভারত-পাকিস্তান ব্যবধানটা বাড়তেই থাকবে। আর আমরা এভাবেই হারতে থাকব। ’
ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৭২টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। আর ভারতের সুযোগ হয় ৫২ বার। দু’দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমখি হয়েছে। যেখানে পাকিস্তান দুটি জয়ের বিপরীতে হেরে গেল দুটিতে। ২০০৪ ও ২০০৯ আসরে জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালের পর ভারত দ্বিতীয়বার জয় তুলে নিল। এই টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়া দু’বার শিরোপা ঘরে তোলে। তবে এখনও ভাগ্যে ট্রফির লিখন হয়নি পাকিস্তানের। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও খেলা হয়নি তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ০৫ জুন ২০১৭
এমআরপি