দুর্দান্ত প্রত্যয় ও দারুণ লড়াকু মনোভাব নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির খুব কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এই সেঞ্চুরি করতে পারলে এটি তামিমের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হতো। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম। এর আগে তিনি অজিদের বিপক্ষে ক্রিকেটের কোন ফরম্যাটেই শতকের দেখা পাননি।
তাই কার্ডিফে এসে হাতের কাছ থেকে ফসকে যাওয়া সেঞ্চুরিটি নিয়ে আক্ষেপ করলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
‘কে না চায় পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেতে? তবে প্রথম সেঞ্চুরিটা অর্থবহ হতো যদি ম্যাচ জিততে পারতাম। কিন্তু হয় নাই। তাই এটা নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নাই। এমন অনেক সময় এসেছে ৮০, ৯০ এর পরে আমি উইকেট দিয়ে এসেছি। তবে ওই দিন আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। শট খেলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টপ এজ হয়ে গেল। ’ বুধবার (৭ জুন) কার্ডিফে অনুশীলনের ফাঁকে তিনি গণমাধ্যমের কাছে তার এমন আক্ষেপের কথা জানান।
এদিকে ইংলিশদের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরিতে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে দারুণ আনন্দিত তামিম। তবে দল জিতলে তার এই আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে যেত বলে জানালেন তিনি, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। দল জিতলে আরও ভাল লাগতো। ’
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরু থেকেই টাইগারদের হয়ে বলতে গেলে একাই খেলছেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে মুশফিক ৭৯ রানের ইনিংস খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে সেই তামিমই খেললেন। বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যানকেই নুন্যতম প্রতিরোধ গড়তে দেখা যায়নি।
অবশ্য সাকিব চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও ডাউন দ্য উইকেটে এসে এলবি’র ফাঁদে পড়ে ফিরে গেলেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। তবে তামিমের বিশ্বাস, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তার সতীর্থরা ঠিকই আপন ছন্দে ফিরবেন, ‘সব টুর্নামেন্টে হয়তো সবাই ভাল করতে পারে না। যাদের হচ্ছে না তারাও যদি ভাল করতে পারে দেখবেন আমরা ম্যাচ জিতে যেতে পারি। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ দলে যারা খেলছে সবাই কম বেশি প্রমাণিত। সব জায়গায় তারা ভাল খেলেছে এবং ভবিষ্যতেও ভাল খেলবে। ’
আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যদি দলগত পারফরম্যন্স ভাল হয়, তাহলে টাইগারদের সেমিফাইনালে উঠার কাজটিও সহজ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস তার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ৭ জুন ২০১৭
এইচএল/এমএমএস