প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহের পরেও হলো না। হয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও।
তাই তিনি একটি সুযোগের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন টাইগার অধিনায়ক। সেই সুযোগটি অবশ্যই জয়ের। গেল দুটি ম্যাচে তিনি এ সুযোগটি পাননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যদি পান তাহলে অবশ্যই তা লুফে নেবেন বলে আশ্বস্ত করলেন।
‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যখন খেলতে আসি তার আগেই আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে এখানে জিততে হলে আমাদের সেরা খেলাটি খেললেই হবে না এক্সট্রা অর্ডিনারি খেলতে হবে। কারণ এই উইকেটে ইংল্যান্ড যদি ওদের সেরা খেলাটি খেলে ওদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন হবে। এমনকি অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সুযোগ তৈরি হলে আমরা যে কোন দলকেই হারাতে পারি। এখনও একটি ম্যাচ বাকি। আমরা এখনও ইতিবাচক ভাবছি। যদি কোন সুযোগ পাই তাহলে চেষ্টা করবো যেন ম্যাচটি আমাদের হাত থেকে হাতছাড়া না হয়। ’
বৃহস্পতিবারা (৮ জুন) কার্ডিফের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান মাশরাফি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরু থেকেই টাইগার দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানেদের ফর্মহীনতা কারও চোখই এড়িয়ে যায়নি। ওপেনার তামিম ইকবাল ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান এখনও তাদের সেরা খেলাটি খেলতে পারেননি। অবশ্য মুশফিকুর রহিম প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানের একটি ইনিংস খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে আবার তিনি নিভে গেলেন!
তবে মাশরাফির বিশ্বাস গুরুত্বপূণ এই ম্যাচে সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক তিনজন ঠিকই জ্বলে উঠবেন, ‘মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব এই তিনজনই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। ওরা যদি অবদান রাখতে পারে তাহলে আপনারা দেখেছেন যে আমরা হারা ম্যাচও জিতেছি। ওরা যেমন ছিল তেমনই আছে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যেন সেরা ক্রিকেট খেলতে পারে সেভাবে ফোকাস হচ্ছে। কালকে ওরা ভালো খেলবে এবং ম্যাচটা আমাদের দিকে আসবে। ’
তবে তাই হোক। সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের জ্বলে উঠার মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষার অবসান হোক।
স্থানীয় সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ৮ জুন, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম