চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর কুম্বলের পদত্যাগে বিশ্ব মিডিয়ায় ভারতকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। আরও আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় কুম্বলের পদত্যাগের পেছনে কোহলির হাত থাকার খবরে।
কুম্বলে নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা তার পদত্যাগপত্রে জানান, ‘বিসিসিআইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে আপত্তি ছিল অধিনায়ক বিরাট কোহলির। কোচ হিসেবে সে আর আমাকে চাইছিল না। বিষয়টা জেনে বেশ অবাক হয়েছি। আমাদের জুটি আর এগিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি মনে করি, সরে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। ’
এই ঘটনায় ভারতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সাবেক ক্রিকেটাররা নিন্দা প্রকাশ করেন। কোহলির ওপর চটে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই কোহলিকে সতর্ক করে দেয় বিসিসিআই। বোর্ড থেকে জানানো হয়, কোচ ইস্যুতে সমালোচনার উর্ধ্বে থাকতে চাইলে এবার সাফল্য এনে দিতেই হবে কোহলিকে।
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের ম্যানেজার থাকা কপিল মালহোত্র তার রিপোর্টে কোহলিকে সম্পূর্ণ অভিযোগমুক্ত দেখিয়েছেন বলে জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। প্রত্যেক সিরিজ বা সফরের পর ম্যানেজারের রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে মালহোত্রকে কুম্বলে-কোহলি বিতর্কের উপর রিপোর্ট দিতে বলেছিল বোর্ড। ম্যানেজারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোহলিকে কখনও কুম্বলের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করতে দেখেননি তিনি।
অবশ্য ঘরের মাঠে ১৩টি টেস্টে ভারতীয় দলের ম্যানেজার থাকা অনিল প্যাটেলের রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘ম্যানেজার তার তৈরি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রিপোর্টে এমন কিছু নেই যা থেকে প্রমাণ হয়, কোহলি কোচের প্রতি উদ্ধত আচরণ করেছিল বা কোনোরকম শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছিল। এছাড়া, রিপোর্টে ড্রেসিংরুম বিবাদের মতো কিছুর উল্লেখ নেই। ’
আরেকটি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ‘বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটির (সিএসি) সঙ্গে কোচের পদে কুম্বলেকে নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানানোয় কোহলির ওপর নাখোশ শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি (সিএসি)। তারা কোহলির এমন দাবিতে বিব্রত ছিলেন। তাই, পরবর্তীতে কোচ নিয়োগে শচীন, গাঙ্গুলী আর লক্ষ্মণ কোনোরকম মত নেবেন না কোহলির। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ০৩ জুলাই ২০১৭
এমআরপি