এ প্রসঙ্গে এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, ‘রবি শাস্ত্রী ডিরেক্টর থাকাকালীন টিমের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনও সংঘাত ছিল না টিমের মধ্যে।
গত বছর শাস্ত্রীকে সরিয়েই অনিল কুম্বলেকে কোচ বেছে নিয়েছিলেন তিন সদস্যের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি। তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার রয়েছেন কমিটিতে। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষন। এবারও এই কমিটির হাতে কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব ছেড়েছে ভারতীয় বোর্ড।
তবে আগেরবারের সঙ্গে এবারের তফাত, ভারতীয় দল এবং শীর্ষস্থানীয় বোর্ড কর্তাদের বক্তব্যও প্রাধান্য পাচ্ছে। কোহলি এবং ভারতীয় দলের সদস্যরা শাস্ত্রীকে ফেরত চান। বোর্ডের মধ্যেও কেউ কুম্বলে-বিতর্কের পর কোহলিদের মত না নিয়ে কোচ বাছার পক্ষপাতী নন।
শাস্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বড় নাম বিরেন্দ্র শেওয়াগ। বিদেশিদের মধ্যে আছেন টম মুডি, রিচার্ড পাইবাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার ফিল সিমন্স আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন।
ধারাভাষ্যকার শাস্ত্রী এখনও লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, তিনি কয়েক দিন আগেই আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ৯ জুলাই। ১০ জুলাই ইন্টারভিউ হবে।
শাস্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে ইঙ্গিত, তিনি এবারও সম্ভবত সশরীরে মুম্বাই এসে ইন্টারভিউ দেবেন না। বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, প্রার্থীরা ‘স্কাইপ’-এ ইন্টারভিউ দিতে পারেন। সেই কারণে লন্ডনে বসে ভিডিও কলেই যোগ দিতে পারেন প্রাক্তন ডিরেক্টর।
আগামী ১১ জুলাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে লোধা কমিটির সুপারিশ নিয়ে কোচের পদ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। হয়তো সেদিনই কোহলিদের নতুন কোচের নাম ঘোষণা করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, ০৪ জুলাই ২০১৭
এমএমএস