এই সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি কোহলি। ধোনির জন্মদিনের (৭ জুলাই ২০১৭) আগে ভেতরে লুকিয়ে রাখা ক্ষোভটা প্রকাশ করেছেন কোহলি।
১৯৮১ সালের ৭ জুলাই রাঁচিতে জন্মগ্রহণ করে ৩৬-এ পা দেওয়া ধোনির পক্ষে ব্যাট ধরে কোহলি জানান, ‘তিনি বলকে খুব ভালোভাবেই স্ট্রাইক করতে পারেন। আগ বাড়িয়ে আপনার জানাতে হবে না, ম্যাচের কোন পরিস্থিতিতে তাকে কিভাবে ব্যাট চালাতে হয়। আপনার জানাতে হবে না, তিনি কিভাবে একটা ইনিংস তৈরি করবেন। ’
অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিলেন ধোনি। এখনও ব্যাট হাতে নিয়মিতই ঝড় তোলেন। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে লো-স্কোরিং ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি ধোনি। উল্টো ধীরগতির ব্যাটিংয়ে নতুন রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে ২০০১ সালের পর সবচেয়ে বেশি বল খেলে হাফসেঞ্চুরির নজির গড়েছেন। ছাড়িয়ে গেছেন সৌরভ গাঙ্গুলীকে। অ্যান্টিগায় সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯০ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ১৭৮-এ গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১১৪ বল মোকাবেলায় ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন ধোনি। ফিফটি করেন ১০৮ বলে।
কোহলি আরও যোগ করেন, ‘আপনি যদি উইকেটে থাকেন তবে এর চেহারা বুঝতে পারবেন। কখনও মনে হবে স্পিন বলে স্ট্রোক নেই, আবার কখনও মনে হবে স্পিনে স্ট্রোক নিলে তা বোকামির পরিচয় হবে। সেদিনের উইকেটের মাঝ বরাবর খুব ভালো ছিল। শট নেওয়ার মতো ছিল না। বল বাউন্সের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল। এছাড়া ধোনি যেভাবে ডিফেন্স করেছে সেটাই স্ট্রোক খেলার চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ ছিল। আমি মনে করি তিনি সেদিন স্ট্রাইকে থেকে দ্বিধায় পড়েছিলেন। আমার কাছে তার সেদিনের ইনিংস ৭০-৮০ রানের মতোই দুর্দান্ত। ’
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ১০৫ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন গাঙ্গুলী। এক যুগ পর সেটি ভাঙলেন ধোনি। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানেও গাঙ্গুলীর নাম (১০৪ বলে ফিফটি, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ০৭ জুলাই ২০১৭
এমআরপি