ইনজামাম প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে পান ১০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (১ কোটি রুপি)। বাকি নির্বাচকদের মধ্যে তৌসিফ আহমেদ, ওয়াসিম হায়দার আর ওয়াজাহাতুল্লাহ পান ১ মিলিয়ন রুপি।
সাবেক প্রধান নির্বাচক ইকবাল কাসিম সমালোচনা করে জানান, ‘প্রধান কোচ ও অন্য স্টাফরা যেখানে ৫ মিলিয়ন রুপি করে পাচ্ছেন, সেখানে প্রধান নির্বাচককে ১০ মিলিয়ন রুপি দেওয়ার কোনো মানে হয় না। শুধু তাই নয়, প্রধান নির্বাচক ও অন্য নির্বাচকদের মাঝেও বৈষম্য করা হয়েছে। ’
আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচক মহসিন হাসান খান জানান, ‘দল ভালো করলে নির্বাচকদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া শুরু হলো কবে থেকে? এই অর্থ তো দেশের ক্রিকেটের ডেভলপমেন্টের জন্য ব্যয় করার কথা। ’
এতো সমালোচনা সহ্য হয়নি ইনজামামের। সমালোচকদের এক হাত নিতে তিনি জানান, ‘পুরস্কার হিসেবে আমরা কিন্তু কোনো অর্থ চাইনি। কিন্তু, এটা হয়েছে। সরকার নিজ থেকে আমাদের পুরস্কৃত করেছে। কোনো ছন্দ ছাড়াই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করা আর এটাকে ইস্যু বানানোটা সত্যিই হাতাশাজনক। এটা আমাদের ছন্দ নষ্ট করে দিচ্ছে। ’
ইনজামাম আরও যোগ করেন, ‘নির্বাচকদের অবশ্যই তাদের পারফরমেন্সের জন্য ক্রেডিট দিতে হবে। এই নির্বাচকদের কল্যানেই গত বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছে। আমাদের নির্বাচন করা দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেল ৭০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে। আর সবশেষ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও জিতেছে। এই নির্বাচক কমিটিই ওয়ানডেতে সরফরাজ আহমেদের নাম অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রস্তাব করেছিল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই ২০১৭
এমআরপি