ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেটারদের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত বিসিবির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
ক্রিকেটারদের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত বিসিবির ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

একথা ঠিক যে মাঠের ক্ষুরধার পারফরমেন্সে টাইগাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজ অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আবার একই সঙ্গে একথাও ঠিক যে মাঠের বাইরে ঘটানো তাদের একের পর এক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সেই অর্জনই আজ কলুষিত হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। তথাকথিত মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা মামলায় ওইবছর জেলে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতিশীল পেস বোলার রুবেল হোসেনকে।

এরপর ২০১৬ সালে গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় কারাগার আলিঙ্গন করেন লাল-সবুজের আরেক পেসার শাহাদাৎ হোসেন রাজীব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান। শাহাদাতের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে বসেন টাইগার অফস্পিনার আরাফাত সানি। এ বছরের শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে জনৈক তরুণীর দায়ের করা মামলায় তাকেও যেতে হয় কারাবাসে। অবশ্য এখন তিনি জামিনে আছেন। মাঝে ছিল বিপিএল চলাকালীন সাব্বিরের নারীঘটিত ঝামেলার খবর।

সবশেষ গত রোববার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনিয়মিত পেস বোলার মোহাম্মদ শহীদের নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিওর কাছে চার পাতার এক অভিযোগপত্র দিয়ে গেছেন তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার। তার অভিযোগের মূল কথা হলো; স্বামী হিসেবে শহীদ তাকে মর্যাদা দিচ্ছেন না এবং প্রায়শই তাকে শারীরীক ও মানষিক নির্যাতন করে থাকেন।

শহীদতো বটেই। অন্যান্য ক্রিকেটারদের ঘটানো ঘটনাগুলো বেশ গুরুত্বের সাথেই আমলে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ভবিষ্যতে তারা যেন এমন কর্মকাণ্ড আর না ঘটান সেজন্য কঠোর নির্দেশনা অচিরেই আসছে বলে হুঁশিয়ার করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটছে তার সবগুলোই আমাদের নজরে আছে। আমরা কেউই বিষয়গুলোকে মেনে নিতে পারছি না। আমরা বিগত দিনগুলোতে ওদের প্রশ্রয় না দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ কেউতো খেলা থেকে নিষেধও ছিল। আমরা চাইবো সব ঠিক হয়ে যাক, না হলে ভবিষ্যতে বিসিবিকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের রোল মডেল উল্লেখ করে পাপন তাদের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন, ‘ক্রিকেট এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খেলা। তারচেয়েও বড় কথা হলো ক্রিকেটাররা এখন এত বেশি জনপ্রিয় যে, এদেশে তারা আস্তে আস্তে দেশের জন্য রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে এটাই আমরা আশা করি। রোল মডেল হিসেবে তাদের এমন কিছুই করা উচিত না যেটাকে নতুন প্রজন্ম ভুল বুঝবে এবং ওই পথ অনুসরণ করবে। সেজন্য বিসিবির পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আরও কঠোর হবো। ক্রিকেটারদের নতুন নতুন নির্দেশনা দেব। আশা করি ভবিষ্যতে এই জাতীয় ঘটনাগুলো কমে আসবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ১১ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।