প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে এ আপিল শুনানি শুরু হয়।
২০১২ সালের নভেম্বরে বিসিবি’র গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিসিবি’র সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু।
এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুল জারিসহ সংশোধনীর ওপরে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালত সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন।
রিটকারীদের দাবি ছিলো, ‘বিসিবি’র গঠনতন্ত্রে ২৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নিতে হবে। বিসিবি ২০১২ সালের ০১ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবি’র সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া সংশোধনী আনে। যা গঠনতন্ত্রের স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যেভাবে অবৈধ উপায়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ১৯৭৪ এর ২০ এর (ক) ধারার পরিপন্থী। ক্রীড়া পরিষদ মডেল গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারে। কিন্তু বিসিবি’র এজিএমে অনুমোদিত গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা রাখে না। ক্রীড়া পরিষদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুসারে বিসিবিতে কাউন্সিলর মনোনয়নসহ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, ক্রীড়া পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল’।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে আপিল করে এনএসসি ও বিসিবি। এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। একইসঙ্গে লিভ টু আপিল করতে বলেন। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই তাদের আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে এনএসসি’র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
বিসিবি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।
রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ইএস/এসএইচ/এএসআর