সপরিবারে কলকাতা যাওয়ার কথা মাশরাফির। আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় ফিরবেন।
পাঁচ বছর পর বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার সম্মানসূচক এ অ্যাওয়ার্ডটি পেতে যাচ্ছেন। কলকাতার এবিপি মিডিয়া গ্রুপ প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বাঙালিদের পুরস্কৃত করে থাকে। এখানে কোনো আঞ্চলিক বাধা নেই। এবারের সংস্করণে খেলোয়াড় বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়ে সেরা বাঙালি খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন টাইগারদের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক।
অতীতে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। তার মধ্যে অন্যতম ২০০৭ সালে বাংলাদেশের সে সময়ের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ও ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি সেরার আসনে বসেছিলেন।
এরপর ২০১২ সালে বাংলাদেশের আরেক তারকা সাকিব আল হাসান, ভারতের মনোজ তিওয়ারি ও সেদেশের নারী ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর হাতে এ পুরস্কার ওঠে। এছাড়া অর্থনৈতিক বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেলবিজয়ী বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও ভারতের অমর্ত্য সেন বেশ কয়েকবার এই খেতাব পেয়েছেন।
এবিপি বিশ্বাস করে, ক্রিকেটে বাঙালিদের গর্ব মাশরাফি এবং বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আধুনিক ক্রিকেটে যিনি বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে গেছেন।
মাশরাফির বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুণে বদলে গেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিম। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি একঝাঁক প্রতিভাবান তরুণদের সমন্বয়ে গড়া দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’র অধিনায়কত্বে টানা ছয়টি ওয়ানডে হোম সিরিজ জেতা টিম বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বেই এক পরাশক্তি দলের নাম।
মাশরাফির হাত ধরে ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করে টাইগাররা। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার কীর্তিতে নিজেদের নতুন উচ্চতায় তুলে ধরে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম