ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পার্থক্য গড়ে দেবে স্পিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
পার্থক্য গড়ে দেবে স্পিন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পেসাররা নন, আগামী রোববার থেকে মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ- অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট সিরিজে বোলিং উইকেটে দাপট দেখাবেন স্পিনাররা। প্রায় এক যুগ পর শুরু হতে যাওয়া টাইগার অজিদের সাদা পোশাকের এই লড়াইয়ে স্পিন আক্রমণই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করবে বলে বিশ্বাস অজি স্পিন অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অ্যাগারের।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা জানান।

অ্যাগার এতটুকুও ভুল বলেননি।

তিনি খুব ভালো করেই জানেন উপমহাদেশের উইকেট সবসময়ই স্পিনবান্ধব হয়ে হয়ে থাকে। পেসারদের চেয়ে স্পিনাররাই উইকেট থেকে তুলনামূলক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেটা হোক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কায়।

আর বাংলাদেশের কথা যদি বলি; মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ, দুটিই স্পিন স্বর্গ। উদাহরণ টানতে খুব বেশিদূর যাওয়ার দরকার নেই। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০ উইকেটের ১৬টিই ছিল স্পিনারদের দখলে। বাকি চারটি পেসারদের।

দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে এসেও সেই স্পিন আলেখ্য। প্রথম ইনিংসে ২০ উইকেটের ১৫টি এসেছে স্পিনারদের ঘূর্ণি থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই। ফলে অ্যাগার স্পিনারদের এগিয়ে রাখাতে ভুল করলেন না, ‘কোন সন্দেহ নেই স্পিনাররাই ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করবে। ’

স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদেরও পিছিয়ে রাখলেন না অ্যাগার। রির্ভার্স সুইং পেলে স্পিনারদের চেয়ে তারাও ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন জানিয়ে দিলেন এই তরুণ বাঁহাতি স্পিনার, ‘আমাদের জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন বার্ডের মতো পেসার আছে। রিভার্স সুইং পেলে তারাও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। ’

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দু’জন স্পিনার খেলানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অজি কোচ ড্যারেন লেহম্যান। সেই বিষয়টিই আজ অ্যাগারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সম্মতিসূচক উত্তর দিলেন, ‘দু’জন স্পিনারের বিষয়ে আমিও আশাবাদী। আশা করছি কোচ আমাকে রাখবেন। তবে সোয়েপসনও ভালো স্পিনার। ’
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসন্দেহ নেই অ্যাস্টন অ্যাগার অজি নির্বাচকদের অন্যতম সেরা বাছাই। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে নটিংহ্যামে অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে টেস্ট ফরমেটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখা এই ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার টানা তিন বছর দলে না থেকেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জায়গা পেয়েছেন। স্পিন বিভাগে তার সাথে তরুণ সোয়েপসন, অভিজ্ঞ নাথান লায়নতো আছেনই। আর পেস আক্রমণে হ্যাজেলউড, কামিন্স ও বার্ডের মতো বিভিষিকাময় এক একজন বোলার রয়েছেন।

তারপরেও তার কথা শুনে মনে হলো বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের (তামিম, ইমরুল, সাকিব) নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছে পুরো অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা ভীষণ আক্রমণাত্মক। অবশ্যই স্পিনারদের উপর তারা প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে। তাই তাদের বিপক্ষে বল করাটা চ্যালেঞ্জিংই হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।