ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইমরুল খেলবেন, মুমিনুল কী পানি টানবেন?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
ইমরুল খেলবেন, মুমিনুল কী পানি টানবেন? ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ ক্রিকেটের হালের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হেড কোচ হাথুরুসিংহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ইমরুল কায়েসকে তিনে ব্যাটিং করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইমরুল তা মেনে নিয়েছেন এবং তদানুযায়ী নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করে যাচ্ছেন। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এবং সেরা একাদশে জায়গা পেলে ওপেনিংয়ের বদলে তাকে তিনে ব্যাটিং করতে দেখা যাবে।

প্রশ্নটি আপনা আপনি চলেই আসে, তাহলে মুমিনুল হক কোথায় খেলবেন?

বিগত বছরগুলোতে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের হয়ে তিনে ব্যাটিং করা এই লিটল টাইগার কী তাহলে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মুশফিক-তামিমদের পানি বয়ে বেড়াবেন? তা নয় তো কী? টাইগারদের হয়ে চার নাম্বারে ব্যাটিংয়ে দেখা যাবে অধিনায়ক মুশফিককে, পাঁচে সাকিব, ছয়ে লিটন অথবা সাব্বির, সাতে মিরাজ। এরপর টেল এন্ডাররা।

কোচের ইগো সমস্যার বশবর্তী হয়ে প্রথমে বাদ, পরে বোর্ড সভাপতির হস্তক্ষেপে দলে ফেরা মুমিনুলের ভূমিকা কী সেটি সত্যিকার অর্থেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাহলে কী মুমিনুল খেলছেন না!

অবাক হওয়ার কিছু নেই। গেল মার্চে কলম্বোয় শততম টেস্টে একাদশে ছিলেন না মুমিনুল। অপেক্ষা করুন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুরে তেমন কিছুই হতে যাচ্ছে। মুমিনুল থাকবেন, দ্বাদশ ব্যক্তি হয়ে!

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনে ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিললো ইমরুলের কথায়, ‘সবশেষ টেস্ট ম্যাচ, যেটা শ্রীলঙ্কায় খেলেছি, সেখানেও কিন্তু আমি তিনে ব্যাটিং করেছি। কোচের সাথে কথা বলেছি, কোচ আমাকে বলেছেন তিনে ব্যাটিং করার জন্য। অপশন দিয়েছেন। নেটে সেভাবেই ব্যাটিং করছি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। ওপেনার থেকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা কঠিন, তবে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। ’ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া ইমরুলকে দেখে মনে হচ্ছিল কেমন ভীত-সন্ত্রস্ত। যেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে তিনি ইতস্তত বোধ করছেন। ৯ বছরের ক্যারিয়ারে খেলা ২৮টি টেস্টের ২৫টিতেই তিনি ওপেনিং করেছেন। তারপরেও এই টেস্টে নিজের অর্ডারে ব্যাটিং করতে পারবেন না! কতটা অস্বস্তিকর এই বিষয়টি?

এমন প্রশ্নে শুনে কী বলবেন ভেবে ইমরুলের আঁতকে উঠার মতো অবস্থা। তার উত্তর শুনে মনে হলো, দলে জায়গা পেয়েই তিনি খুশি, ‘আমি মনে করি জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলাই সবচেয়ে বড় অর্জন। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ব্যাটিংয়ের জায়গা নিয়ে নিজের পছন্দ থাকে। কিন্তু দল যেটা ভালো মনে করে সেটাই করতে হবে। আমার মনে হয়, দুই জায়গায়ই আমি ব্যাটিং করতে রাজি; ওপেনিং বা তিন নম্বর যাই হোক। ’

কী অসাধারণ অভিব্যক্তি ইমরুলের! বছর দু’য়েক আগেও যে ব্যাটসম্যান টাইগার ওপেনিং অর্ডারের নির্ভরতার মূর্ত প্রতীক ছিলেন, তিনি আজ দলে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় লড়ছেন। এটাই বোধ হয় বাস্তবতা! সময়ের নির্মমতা!

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।