টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেটে খেলা শুরু ১১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দেওয়ার সাকিবের। তখনও হারতে চাইতেন না এই টাইগার অলরাউন্ডার, ‘আমি মাগুরায় টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম।
সাকিবের বয়স যখন ১৩, তখন ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। সে সময় বাংলাদেশ মাত্রই টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। সাকিব জানান, ‘বিকেএসপির কোচরা আমাকে বলেছিলেন, তুমি এমন কেউ হও যাতে মানুষ তোমাকে অনুসরণ করে, তুমি কাউকে অনুসরণ কোরো না। ’
তিনি আরও জানান, ‘ক্রিকেট বাংলাদেশে ধর্মের মতো। যখন আমাদের ম্যাচ চলে এখানের মানুষ টেলিভিশনের পর্দার সামনে আঠার মতো লেগে থাকে, অন্য কাজ ভুলে যায়। ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে বসলে কাজের জন্য বাইরে বের হয় না অনেকেই। আমার মনে হয় আমরা ভাগ্যবান এমন সমর্থক পেয়ে। ’দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সাকিবকে নিষিদ্ধ হতে হয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সে কথাও। ২০১৪ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। সেই সময়ে অনেক কিছু শিখেছেন সাকিব, ‘এটা আমাকে শান্ত হতে শিখিয়েছে। এরপর থেকে আমি মানসিকভাবে অনেক শক্ত হয়েছি। এমনভাবে যে কেউ আমাকে ভাঙতে পারবে না। আমি পত্রিকা পড়ি না, খবর দেখি না। খুব বেশি বাইরের লোকের সঙ্গে কথা বলি না। পরিবারের মানুষ আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথেই সময় কাটাই। তারা আমাকে ক্রিকেট নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করে না। তাই আমি নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করি, এনজয় করি সময়। আবার পরিবারকেও সময় দেই। আমার মনে হয় এর জন্যই আমি সাফল্য পাচ্ছি। ’
সাকিব ৩০ বছরে পা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আরও সময় পাবেন তিনি। আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে সাকিবের মত, ‘আমার মনে হয় আমরা এখন বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারানোর ক্ষমতা রাখি। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়তো জিততে পারবো না, তবে ২০২৩ কেন নয়? আগের থেকে এখন আমরা আরও ভালো দল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি