প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচে ৮১৮টি উইকেট লাভ করেন প্রিচার্ড। এর মধ্যে এজবাস্টনে এক যুগের ওয়ারউইকশায়ার ক্যারিয়ারে ৬৯৫।
১৯৩৭ সালে ২০ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার কাছাকাছি এসেছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা সংমিশ্রণ ওই সময়টাতে মিলে গিয়েছিল। পরবর্তীতে কাউন্টি ক্রিকেটে পেশাদার চুক্তি ক্ষুন্ন না করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে ১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ইংল্যান্ড ট্যুরে সুযোগ মেলেনি। এরপর আর কখনোই ডাক পাননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিবর্তে ওয়ারউইকশায়ার ক্যারিয়ারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন করেন প্রিচার্ড। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ পর্যন্ত প্রতি মৌসুমে ১০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখান। যুদ্ধ চলাকালীন মধ্যপ্রাচ্য ও ইতালিতে থাকার পর শেষ পর্যন্ত ১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ডে ফেরেন প্রিচার্ড, প্রাথমিক ইচ্ছার ৪১ বছর পর।
গত মার্চে শততম জন্মদিন উদযাপনে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন প্রিচার্ড। জোর দাবি করেন তার ক্যারিয়ারে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘ক্রিকেট আমাকে একজন তরুণ স্কুলবয় থেকে নিয়ে এসেছে। আমার মায়ের পরিবার ১৮৭৫ সালে জার্মানি ত্যাগ করে। তারা এই খেলার প্রতি আগ্রহী ছিল না। ১৯৩৭ সালে নিউজিল্যান্ড টিমে না থাকায় আমি উচ্ছ্বসিত ছিলাম কারণ এটা অনেক কিছু এলোমেলো করে দিতে পারতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ২২ অাগস্ট, ২০১৭
এমআরএম