আইপিএলের ২০১৬ আসরে মোস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামলেও তার সামনে পড়েননি। কেননা ম্যাক্সওয়েল একটিতে আউট হয়েছেন ২ রানে আর অপরটিতে রানের খাতা না খুলে অপরাজিত ছিলেন।
তবে টি-২০ বিশ্বকাপের সেই ম্যাক্সওয়েলকে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মোস্তাফিজের বলের সামনে অগ্নিমূর্তি রূপে দেখা যাবে কী না বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে। বেঙ্গালুরুর ওই উইকেট তৈরি স্পোর্টিং ধাচের। মিরপুর এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পিচ হবে স্পিনবান্ধব। মোস্তাফিজের বিষয়টিও স্বাগতিক দেশের কিউরেটররা মাথায় রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক।
সঙ্গত কারণেই এই কন্ডিশনে মোস্তাফিজের বল মোকাবেলা করার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জিং মানছেন ম্যাক্সওয়েল, ‘নিঃসন্দেহে মোস্তাফিজ একজন বিস্ময়কর বোলার। তাকে আইপিএলে দেখেছি। পুরো মৌসুমটাই সে দারুণ কাটিয়েছে। বাড়তি কাজ করলে টেস্টেও অসাধারণ হতে পারে। তার সুইং ও স্লো বলের যে বৈচিত্র্য এটা গতানুগতিক বাঁহাতি পেসারদের মতো নয়। ওর হাতে যেটা সেম ধরে শেষ মুহূর্তে রেখে সে স্লো বল করতে পারে, যেটা বুঝে ওঠা খুবই কঠিন। ’
বুধবার (২৩ আগস্ট) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে মোস্তাফিজকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন ম্যাক্সওয়েল।
মোস্তাফিজকে তুলনামূলক কম মোকাবেলা করলেও বেশ কয়েকবার সাকিব আল হাসানের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ মিলেছে ম্যাক্সওয়েলের। আইসিসির বৈশ্বিক আসরের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতেও লাল-সবুজের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে খেলেছেন। খুব কাছে থেকেই তার ব্যাটিং-বোলিং দেখেছেন। তাই সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকেও মোস্তাফিজের পাশাপাশি এগিয়ে রাখতে ভুল করেননি, ‘সে সারা বিশ্বেই খেলে এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দারুণ একজন ক্রিকেটার সে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম