কারো গায়ের সাথে গা লাগিয়ে, ধাক্কাধাক্কি করে, পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে না।
স্বল্প দৈর্ঘ্যের লাইনে বেশ স্বাচ্ছন্দে উপস্থিত সবাই টিকিট কিনছেন।
কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানালেন, ‘সামনে ঈদ। রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ বাড়িমুখী। অনেকে আবার এই মুহূর্তে কেনাকাটায় ব্যস্ত। আর রাজধানীতে যারা থাকবেন তারা ব্যস্ত গরু কেনায়। ’
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রির কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেল বিগত সিরিজগুলোতে যে বুথে টিকিট বিক্রি হতো সেখানে কোন বুথই তৈরি হয়নি।
তারপরেও সেখানেই জন দশেক স্কুল শিক্ষার্থী বসে আছেন। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছেন টিকিট কোথায় বিক্রি হবে? ধাক্কা খেলাম আমিও। কেননা ইনডোরের বুথ তৈরি হয়নি। টিকিট নিয়ে গতরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো মেইল চেক করি। ঠিক জায়গায় এসেছিতো? দেখি না ঠিকই আছে সব।
তাহলে কেন বুথ তৈরি হয়নি? জানতে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। তাদের উত্তর, ‘টিকিট কেনার মানুষ নেই। এই তো আজকের মধ্যেই হয়ে যাবে। ’ তাদের সাথে কথা শেষ হতেই দেখি টিকিট নিতে উপস্থিত সবাই হন্তদন্ত হয়ে ইনডোরের প্রধান গেটের দিকে ছুটছে। তাদের অনুসরণ করলাম। তাদের ছোটাছুটি থামলো প্রধান গেটের গার্ডরুমের সামনে এসে।
টিকিট সংগ্রহ করতে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লো। গার্ডরুমের ভেতর থেকে একজন টিকিট দিচ্ছেন আর সবাই টিকিট নিচ্ছেন। অনুভূতি জানতে চাইলাম। টিকিট পেয়ে কেমন লাগছে? বিস্ময়সূচক উত্তর, ‘ভাবতেও পারিনি এত সহজে টিকিট পাবো!’ আবার আছে শঙ্কাও, ‘আবহাওয়ার যে অবস্থা ম্যাচ ঠিকমত হবে কী না!’
বিগত সিরিজগুলোতে টিকিটের বুথ সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ সকালে তারও ব্যতিক্রম দেখা গেল। মাত্র ১ জন! পল্লবী থানার সহকারী উপপরিদর্শক মজিবর দাঁড়িয়ে। তার তেমন ব্যস্ততা নেই। তার সাথে অন্যান্য সদস্যরা বিক্ষিপ্তভাবে দায়িত্বরত।
মজিবর গার্ডরুমের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আর স্বল্প লাইনেও যারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছেন তাদের সতর্ক করছেন, ‘লাইন ভাঙবেন না। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করুন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমএমএস