কারণটা শোনা যাক তাদের মুখ থেকেই।
দুই কিশোর বলেন, টেস্টের প্রথমদিনের খেলা দেখার প্রস্তুতি নিয়ে আমরা শহরে এসেছিলাম।
এই দুইজন উদাহরণ মাত্র। মাঠের বাইরে হাজারো দর্শক ঘুরছেন টিকিটের আশায়। অন্যদিকে বিটাক মোড়ে স্থাপিত কাউন্টারে সকালেই বিক্রি হয়ে গেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকার টিকিটগুলো। এই টিকিটগুলো দালালদের অনেকেই সকালে কিনে নিয়েছেন। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে শুরু করেন। দুপুর ১টা নাগাদ ৫০ টাকার সেই টিকিট ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
কোনো কোনো পুলিশ সদস্যকেও অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এক দর্শক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। ‘৫০ টাকার টিকিট ৫০০ টাকা’ করে বিক্রি হচ্ছে। তিনি কিনেছেনও, তা কিনে খেলা দেখা শুরু করেছেন।
যেসব দালালদের হাতে টিকিট মিলছে তাদের প্রায়ই স্বেচ্ছাসেবক। আবার অনেক স্বেচ্ছাসেবককে টিকিট ছাড়া টাকার বিনিময়ে দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এভাবে টাকার বিনিময়ে ইস্টার্ন গ্যালারিতে দুই দর্শককে প্রবেশ করানোর সময় খোরশেদুল আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গেটের অদূরে খোরশেদুল আলমকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তিনি টাকার বিনিময়ে দর্শকদের মাঠে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারবেন- এমন কথায় প্রলুব্ধ করছেন।
পরে দুজন তরুণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি তাদের মাঠে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সময় সন্দেহ হলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান তাকে ধরে ফেলেন। তবে ওই দুই তরুণকে নিজের বন্ধু পরিচয় দেন খোরশেদুল।
পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান বলেন, টাকার বিনিময়ে দুই তরুণকে মাঠে প্রবেশ করানোর চেষ্টার সময় আমরা এক স্বেচ্ছাসেবকসহ ওই দুই দর্শককে আটক করেছিলাম। পরে আর এ রকম কাজ করবে না এমন মুচলেকা দেওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামার অপেক্ষায় থাকলেও প্রায় ২০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের প্রায় অংশই ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু মাঠের বাইরের চিত্র তার উল্টো। টিকিটের জন্য হাহাকার দর্শকদের। অনেককে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
টিকিটের বিষয়ে জানতে ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/আইএ