৩০৫ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। প্রথমদিনের ৬ উইকেটে ২৫৩ রানের সঙ্গে আর মাত্র ৫২ রান যোগ করেই বাকি চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তাই দিন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কিছুটা হতাশার কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা নাসির হোসেন।
নাসির বলেন, ‘যে উইকেটে আমরা খেলছি সেই উইকেটে ১০০ থেকে ১৫০ রান কম হয়েছে আমাদের। আমাদের ৪০০ থেকে ৪৫০ রান করা উচিত ছিল। সেটা হলে আমরা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকতাম। ’
দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারালেও তখনও আস্থার প্রতীক হয়ে উইকেটে ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু তিনি ফিরে যেতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন।
নাসির হোসেন বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিলো লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাটিং করে যাওয়ার। সবচেয়ে বড় কথা অপরপ্রান্তে মিরাজ ছিল। আমরা দু’জন সুন্দর একটা পার্টনারশিপ করছিলাম। সেটা লাঞ্চ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারলে দলের জন্য অনেক ভালো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। ’
দ্বিতীয় দিন শেষে দুই উইকেটেই ২২৫ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ৫৮ রানে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে ফেরানো গেলেও ভাঙা যাচ্ছে না ডেভিড ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্বের প্রতিরোধ। এরইমধ্যে দু’জনেই গড়েছেন শতরানের পার্টনারশিপ।
তবে তাদের ফেরানোর সুযোগ যে একেবারেই বাংলাদেশ পায়নি তা নয়।
ব্যক্তিগত ৭৩ রানে ফিরতে পারতেন ওয়ার্নার। যদি স্টাম্পিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারতেন মুশফিক।
সংবাদ সম্মেলনে এ স্টাম্পিংয়ের প্রসঙ্গটা উঠতেই অধিনায়কের হয়ে ব্যাট ধরলেন নাসির হোসাইন।
বলেন, ‘বলটা খুব নিচু হয়ে এসেছে। এটাকে বড় সুযোগ বলা যায় না। ফিফটি ফিফটি সুযোগ বলা যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/জেডএস