সাকিব তার ফেসবুক পেজে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য লিখেছেন-
প্রিয় সমর্থক,
আপনারা জানেন আমি গত কয়েক বছর ধরে দেশের গৌরবের জন্য বিরতিহীন ক্রিকেট খেলে যাচ্ছি, যার কারণে আমার অনেক শারীরিক ও মানসিক ধকল যাচ্ছে। এই ব্যাপারটি মাথায় রেখে আমি ঠিক করেছিলাম আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের দুটি টেস্টে সামিয়িক বিরতি নেওয়ার এবং বিসিবি বিষয়টি তাদের বিজ্ঞ বিবেচনায় নিয়ে আমাকে খেলা থেকে বিরতি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
ফলে, আমি মনে করি সাময়িক এই বিরতি আমাকে আগামী খেলাগুলোর জন্য আরো শক্তি ও মনোবল যোগাবে এবং আমাকে ও পুরো দলকে সাহায্য করবে আগামীতে আমাদের সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে।
আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সীমাহীন ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণার দেওয়ার জন্য। আসুন সবাই আমাদের টাইগারদের সাফল্য কামনা করি সামনের দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের জন্য।
এর ফলে দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টেস্ট থেকে ছয় মাসের বিশ্রাম চাওয়া সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়। টানা খেলার ক্লান্তি ঘোচাতেই ছয় মাসের ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব। তবে, চাইলেই সাকিব দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন।
চলতি বছর টেস্টে ব্যাটে-বলে সেরা ফর্মে আছেন। এরমধ্যেই ৭ টেস্টে ব্যাট হাতে করেছেন ৬৬৫ রান, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে তার সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। উইকেট নিয়েছেন ২৯টি। ২০০৮ সালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঝলমলে ছিলেন সাকিব। প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছিলেন ছয়টি উইকেট।
ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুই দিক থেকেই বাংলাদেশের মূল ভরসা সাকিব। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর ৫১টি টেস্ট খেলেছেন সাকিব। তাকে ছাড়া বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে মাত্র সাতবার। যে ৫১ টেস্টে মাঠে নেমেছেন ব্যাটে কিংবা বলে তাকে ছাড়াতে পারেননি কেউ। যে ৫১ টেস্ট খেলেছেন সাকিব, তাতে বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট পেয়েছেন ৬৪৩টি, সাকিব একাই নিয়েছেন এর ১৮৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি