টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ব একাদশের দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তামিম ইকবাল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ফখর জামান এবং বাবর আজম। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফখর জামান বিদায় নিলেও বাবর আজম খেলেন ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ৫২ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর ২টি ছক্কার মার। আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ৩৪ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৯ রান।
মাঝে দলপতি সরফরাজ আহমেদ ৪ রানে বিদায় নেন। শোয়েব মালিক ২০ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ইমাদ ওয়াসিম ৪ বলে দুটি ছক্কায় ১৫ রান এবং ফাহিম আশরাফ ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিশ্ব একাদশের থিসারা পেরেরা দুটি উইকেট নেন। মরনে মরকেল, ইমরান তাহির আর বেন কাটিং একটি করে উইকেট পান। ড্যারেন স্যামি আর গ্রান্ট ইলিয়ট কোনো উইকেট পাননি।
এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের আট ক্রিকেটার নিজেদের মাটিতে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায়। সর্বশেষ ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেট-ভক্তরা নিজ মাঠে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত। মাঝে ২০১৫ সালে অবশ্য একবার জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানে গিয়ে খেলে এসেছে।
আইসিসি তিনটি ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দিয়েছে। পাকিস্তানিদের তো বটেই, বিশ্ব একাদশের খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানেও যোগ হবে এই তিন ম্যাচের হিসাব। ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়েও ওলট-পালট হতে পারে সিরিজের পারফরম্যান্সে। সিরিজটা তাই এখন আর প্রদর্শনী ক্রিকেটের গণ্ডিতে আটকে নেই। ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব একাদশ: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, তামিম ইকবাল, ডেভিড মিলার, টিম পেইন, গ্র্যান্ট ইলিয়ট, বেন কাটিং, ড্যারেন স্যামি, ইমরান তাহির, মরনে মরকেল ও থিসারা পেরেরা।
পাকিস্তান একাদশ: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজম, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, রুম্মন রইস ও সোহেল খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি