আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ধারা-৩ মোতাবেক প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন ক্রো।
আর আইসিসির দেয়া চিঠির জবাব দিতে ১৪ দিনের সময়ে বেঁধে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটিকে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি নিজেই অবহিত করেন, ‘আমরা আইসিসির রিপোর্ট পেয়েছি। তারা শের-ই-বাংলার আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আইসিসিকে একটা রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছি। ’
আইসিসি কর্তৃক শের-ই-বাংলার আউট ফিল্ডকে ‘বাজে’ হিসেবে উল্লেখ করার কারণ জানাতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘আপনারা জানেন গত চার পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময় মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে। বৈরি আবহাওয়াটা না থাকলে, এই অবস্থা হতো না। ’
তবে আইসিসিকে দেয়া চিঠিতে বিসিবি কী কারণ দেখিয়েছে তা বলতে সম্মত হননিন তিনি।
এদিকে ২০০৫ সালে আইসিসির অ্যক্রিডিটেশন পাওয়ার পর শের-ই-বাংলার মাঠ নিয়ে এমন ঘটনা এই প্রথম বলেও দাবী করেন বিসিবি সিইও, ‘২০০৫ সালে আইসিসির অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার পর শের-ই-বাংলা নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আইসিসির কয়েকটি বড় আয়োজন এখানে হয়েছে। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এখানে হয়েছে। পরপর তিনটি এশিয়া কাপ আমরা এখানেই আয়োজন করেছি। মাঠের যে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিলো, তা মনে করি না। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। ওরা কিন্তু শুধু মাত্র ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্যান্য দিক ঠিক আছে। এখন সময়ের সাথে সাথে এটা ভালো হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমএমএস