পচেফস্ট্রুমে, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকদের ইনিংস! আর এমন যতসামান্য দলীয় সংগ্রহে সফরকারীদের বরণ করে নিতে হয় ৩৩৩ রানের লজ্জার হার।
পঞ্চম দিন ব্যাটিং নেমে দলের সাত উইকেট হারাতে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা সময় নিয়েছেন ৮৩ মিনিট।
মাশরাফির মতে, ‘আমার কছে মনে হয় বাংলাদেশের একটা বাজে দিন গেছে। আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকার ওই কন্ডিশনে যান, দেখবেন সেটা আমাদের জন্য কতটা কঠিন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিনে যেটা হয়েছে এরকম দিন ক্রিকেটে খুব সামান্য আসে। ’
৩৩৩ রানের হার নিঃসন্দেহে লজ্জার। কিন্তু দুটি বিষয় থেকে টাইগাররা উন্নতি করেছে এমন প্রেরণা নিতেই পারেন। প্রথমটি হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এর আগেও বাংলাদেশ চারবার গিয়েছে এবং প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে ইনিংস পরাজয়ের তিক্ততা নিয়ে। পক্ষান্তরে প্রথম টেস্টে সেই দৈন্যদশা কাটাতে সক্ষম হয়েছে মুশফিক ও তার দল।
আর দ্বিতীয়টি হলো, প্রথম ইনিংসে মুমিনুল (৭৭) ও রিয়াদের (৬৬) ইনিংস। সাথে মুশফিকের ৪৪ রান। শেষ দিন ড্র’র আশা অনেকটাই জাগাতে পেরেছিল সফরকারীরা। বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করলেন মাশারাফিও।
ওয়ানডে দলপতি জানান, ‘এর আগে চারবারের প্রতিবারই আমরা ইনিংস ব্যবধানে হেরেছি। এবার নূণ্যতম উন্নতি কিন্তু আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে উপমহাদেশে আমাদের চেয়ে ভালো ব্যাটিং অর্ডারের রেকর্ডধারী দল গিয়েও সংগ্রাম করে। আমি প্লেয়ারদের প্রেস কনফারেন্স আগেও দেখেছি। তারা সংবাদ সম্মেলনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলছে এই টেস্ট ড্র হবে। তার মানে তারা ড্রেসিংরুমে ওই ধরণের আলোচনা করেছে। এই মানসিকতাটা থাকলে আমার বিশ্বাস দিন দিন খেলার আরও উন্নতি হবে, অবশ্যই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ৩ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি