তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা পরে হতে পারে। সিরিজের মাঝখানে এসব বলা ঠিক না।
বর্তমানে আকরাম খান চট্টগ্রামে রয়েছেন। রোববার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর এক ফাঁকে মুশফিক প্রসঙ্গ তুললে বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক এসব কথা বলেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের টেস্ট ম্যাচ দু’টিতে দুর্দান্ত খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে একেবারেই ফ্লপ মুশফিক বাহিনী। প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারার পর দ্বিতীয় টেস্টে আরও বড় ব্যবধানে হারের মুখে রয়েছে টিম বাংলাদেশ।
দলপতি হয়েও দ. আফ্রিকায় যেন নিজের কাজটি যথার্থভাবে করতে পারছেন না মুশফিক। প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের পরেও টস জিতে তার বোলিং নেওয়াটা বিস্ময়কর ঠেকেছে সবার কাছে। এ নিয়ে একরাশ সমালোচনার মুখে পড়েন সাদা পোশাকের বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। তবে সিদ্ধান্তটা মুশফিকের নয়, টিম ম্যানেজমেন্টের চাপিয়ে দেওয়া বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন কিপিং না করা অধিনায়ককে বেশিরভাগ সময় ফিল্ডিং করতে দেখা গেছে বোলারদের আশপাশের খুব বাইরে। অথচ বোলিং ইনিংসে অধিনায়করা বেশিরভাগ সময়ই থাকেন স্লিপ, মিড অন কিংবা মিড অফে।
পরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘আমার কোচরা চেয়েছে আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, আমি সামনে থাকলে আমার কাছ থেকে নাকি রান হয়ে যায়। বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি (ধরার) চান্সও থাকে না। ’-অধিনায়কের কথায় যেন চরম অসহায়ত্বের রেশ।
সময়টা খারাপ যাচ্ছে মুশফিকের। কথা বলার ভঙ্গিতেও বেশ অগোছালো ভাব ধরা পড়ছে। কখনও নিজ বোলারদের ধুয়ে দিচ্ছেন। কখনও টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত বেশ খোলাখুলি বলে দিচ্ছেন গণমাধ্যমকে।
তাই সব মিলিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মুশফিককে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে সবখানে। তবে এমন খারাপ সময়ের দিনগুলোতে আকরাম খানের কথায় কিছুটা হলেও শান্তি খুঁজে নিতে পারেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এমআরএম