এদিকে, মুশফিকের সমালোচনা করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে, এতো আলোচনা-সমালোচনাতে কান দেননি টেস্টের সহকারী অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
মূলত মুশফিকের সমলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল পচেফস্ট্রুমে টসে জিতে ব্যাটিং পিচে ফিল্ডিং নেওয়াতে। আরও সমালোচনা হয় দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়াতে। সংবাদ মাধ্যমে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা উইকেট বুঝতে পারিনি। বোলাররা জাতীয় দলে খেলার মতো স্কিল রাখে, অথচ অভিজ্ঞতার অযুহাত দেখাতে হয়। তারা উইকেট নিতে না পারলেও বল লাইনে রাখতে পারছে না। ’ তিনি আরও জানান, ‘আর এমনই যদি হয় তাহলে তো টস জেতাটাই ভুল হয়ে গেছে। কিছু প্রাপ্তি থাকলে সেটা হয় টিম ম্যানেজমেন্টের। আর কিছু না পেলে তার সব দোষ পড়ে অধিনায়কের ঘাড়ে। ’ মুশফিক যোগ করেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে আমাকে বোলারদের থেকে দূরে ফিল্ডিং করতে হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে আমার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যায়, রান বের হয়ে যায়। ’
মুশফিকের ডেপুটি তামিম জানালেন, ‘এ মুহূর্তে আমার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। যত দিন না বোর্ড তাকে এই দায়িত্ব থেকে না সরায়, তত দিন এই সমর্থন থাকবে। শুধু আমার নয়, দলের বাকি ২৪ জনের সমর্থনও থাকবে। কারণ সে আমাদের নেতা। বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত নেয় মুশফিক সঠিক ব্যক্তি নয়, অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবে, তাহলে সেটা তখন দেখা যাবে। ’
তামিম আরো যোগ করেন, ‘টসে জিতে ফিল্ডিং করা অবশ্যই দলের সিদ্ধান্ত। এটা কোন সময় কারো একার হতে পারে ন। কোচ, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক, সবারই মতামত থাকে এতে। আগের টেস্টের চিত্র দুই-একটা হয়ত ভিন্ন ছিল, কিন্তু এই টেস্টে আমাদের চিন্তা পরিষ্কার ছিল। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে টসে জিতলে বোলিং নিব। অধিনায়ক যে-ই- হোক, দিনশেষে আমরা সবাই তো মানুষ। ভুল হতেই পারে। পচেফস্ট্রুমে বলতে পারেন ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। ওখানে আগে ব্যাটিং করলে হয়ত ভালো হতো। তবে আবারও বলছি, সেটি অধিনায়কের একার সিদ্ধান্ত ছিল না। সবাই একমত হয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মুশফিক যেহেতু অধিনায়ক, তার ঘাড়ে দোষ চাপানো সহজ। দোষটা আসলে আমাদের ২৪-২৫ জনের উপরই আসা উচিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি