তবে, ইচ্ছে প্রকাশ করলেই তো আর সব শেষ না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের বরাত দিয়ে লঙ্কানদের গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিরাপত্তার ইস্যুতে পাকিস্তানে খেলতে যেতে চাইছে না দলের বেশিরভাগ তারকা ক্রিকেটার।
আপাতত লঙ্কান বোর্ড ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে বলেও সংবাদ মাধ্যমে ওঠে এসেছে। জাতীয় দলের সেই ক্রিকেটার আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা সেই দল যাদেরকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীরা সরাসরি টার্গেট করেছিল। তখন থেকেই ভয় আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। এভাবে সরাসরি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া দল আমরাই। এখনও অনেক সময় আছে। দেখা যাক সামনের দিনে কি হয়। ’
এই ম্যাচটি হলে পাকিস্তানের মাটিতে সাত বছর পর বড় কোনো বড় দল সফর করবে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের টিম বাসে সেই হামলায় ছয়জন পুলিশ ও দু’জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। আহত হন সে সময়ে সফর করা বেশ কয়েকজন লঙ্কান ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। বরং কড়াকড়িভাবেই না যাওয়ার ব্যাপারটি জানিয়ে দেয়। পরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি লাহোরে খেলতে রাজী হয় লঙ্কান বোর্ড। প্রথম দুটি ম্যাচ হবে আরব আমিরাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি