দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই উদীয়মান ডানহাতি পেসার। ওয়াকার ইউনিসের রেকর্ড ভেঙে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের দ্রুততম ৫০ উইকেটশিকারি এখন হাসান আলী।
এ মাইলফলকে পৌঁছাতে ২৭টি ওয়ানডে খেলতে হয়েছিল ওয়াকারকে। এদিক থেকেও স্বদেশী কিংবদন্তি ও নিজের ‘আইডল’ কে ছাড়িয়ে গেছেন হাসান। ক্যারিয়ারের ২৪তম ওয়ানডেতে এসে পঞ্চাশ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৫/৩৪) প্রদর্শন করেন হাসান। ২৪ ওয়ানডেতে তার উইকেটসংখ্যা ৫১। গত জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে খবরের শিরোনাম হন তিনি। ফাইনালে তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে হারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন। এরপর থেকেই নিজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন।
এ বছর এখন পর্যন্ত ওয়াডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হাসান। ১৬ ম্যাচে তার নামের পাশে ৪০টি উইকেট। তিন ম্যাচ কম খেলে ৩৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আফগানিস্তানের উঠতি লেগস্পিনার রশিদ খান। ১৮ ম্যাচে সমান সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের লিয়াম প্লাঙ্কেট।
ইউনিসের বোলিং দেখে বড় হয়েছেন হাসান আলী। শিখেছেন অনেক কিছু। ‘ক্রিকইনফো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথাই প্রকাশ করেছিলেন, ‘বেড়ে ওঠার সময় ভিকি ভাইয়ের (ওয়াকার ইউনিস) বোলিং দেখে উপভোগ করেছি এবং তরুণ বয়স থেকেই পেস বোলিংকে ভালোবেসেছি। আমি ভিকি ভাইকে প্রচণ্ডরকমভাবে অনুকরণ করেছি, তার আক্রমণাত্মক মনোভাব, তার বোলিং। কার্যত, যখন আমি তার বোলিং স্পেল দেখি, যখন তিনি বোলিং করেন আমি সেই অনুভূতিটা টের পাই, একই রকমের সুখের অভিজ্ঞতা নিই এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করি। তার বোলিংয়ের সুইং দেখা, প্রচলিত ও রিভার্স, আপনাকে অনেক শেখাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম