সিলেটের ছুঁড়ে দেওয়া ১০২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ৭.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের লঙ্কান তারকা কুমার সাঙ্গাকারার জায়গায় খেলেন পাকিস্তানের তারকা শহীদ আফ্রিদি।
মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা ডায়নামাইটসের দলপতি সাকিব। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার বোলারদের তোপে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান তোলে সিলেট। শেষ জুটিতে আবুল হাসান-তাইজুল অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৪৮ রান তুলে। ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।
ওপেনার দানুসকা গুনাথিলাকা ৯ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ১৫ রান। দলপতি নাসির হোসেন করেন ১০ রান। এছাড়া, উপুল থারাঙ্গা ১, সাব্বির রহমান ১, রস হোয়াইটলি ৬, হাসারাঙ্গা ৮ রানে বিদায় নেন। বিপাকে পড়া সিলেটকে টেনে নিতে পারেননি ব্রেসনান (২)। দলীয় ৫১ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় সিলেট। স্কোরবোর্ডে ১ রান জমা হতেই বিদায় নেন নুরুল হাসান সোহান (৮)। ইনিংসের ১২তম ওভারে আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন ব্রেসনান-সোহানকে।
১৩তম ওভারে নারাইন ফিরিয়ে দেন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আসা মোহাম্মদ শরীফকে (০)। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ৯ উইকেট হারানো সিলেট যখন লজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে তখন দলের হাল ধরেন আবুল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম। তারা স্কোরবোর্ডে আরও ৪৮ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। আবুল হাসান ২৬ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল ২০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার আবু হায়দার রনি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২টি, সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩টি, শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪টি, সাকিব ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে উইকেট পাননি। ক্যামেরন ডেলপোর্ট ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। মোহাম্মদ শহীদ ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। মোসাদ্দেক ১ ওভারে ৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট লাভ করেননি। ইনিংসের শেষ ওভার করা খালেদ আহমেদ ৭ রান খরচ করেন।
এবারের আসরে টানা তিন জয়ের পর হারের স্বাদ নেয় নাসির-সাব্বিরদের সিলেট সিক্সার্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিবের ঢাকা সিলেটের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার মানে। তবে, দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরে আসে ডায়নামাইটস। ২০০ প্লাস স্কোর গড়ে খুলনা টাইটান্সকে হারায় ৬৫ রানের ব্যবধানে। আর, টানা তিন ম্যাচে জয়ের পর খুলনার কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায় সিলেট সিক্সার্স। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো নাসিরের দল আর টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো সাকিবের দল।
১০২ রানের টার্গেটে ডায়নামাইটসের ওপেনিং করতে নামেন এভিন লুইস আর শহীদ আফ্রিদি। দুই ওপেনারই ব্যাট হাতে সিলেটের বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়েন। প্রথম ৪ ওভারেই তারা তুলে নেন ৫৯ রান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে এলবির ফাঁদে পড়েন আফ্রিদি। তার আগে মাত্র ১৭ বল খেলে এই পাকিস্তানি করেন ৩৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা আর একটি চারের মার। আফ্রিদির বিদায়ের পরের বলেই টিম ব্রেসনান ফিরিয়ে দেন ক্যামেরন ডেলপোর্টকে। তবে, হ্যাটট্রিক করতে পারেননি এই মিডিয়াম পেসার।
ঢাকার আরেক ওপেনার এভিন লুইস মাত্র ১৮ বল খেলে করেন অপরাজিত ৪৪ রান। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার আর ৫টি ছক্কার মার। দলপতি সাকিব বিপিএলের এক হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন। ১১ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৮ রান।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয় রাজশাহী কিংস। রংপুরকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখে কিংসরা। ড্যারেন স্যামির অনুপস্থিতিতে রাজশাহীকে নেতৃত্ব দেন আইকন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৪ রান। জবাবে, ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে রাজশাহী।
সিলেট সিক্সার্স: উপুল থারাঙ্গা, দানুসকা গুনাথিলাকা, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), রস হোয়াইটলি, নুরুল হাসান, টিম ব্রেসনান, আবুল হাসান, তাইজুল ইসলাম, হাসারাঙ্গা, মোহাম্মদ শরীফ।
ঢাকা ডায়নামাইটস: এভিন লুইস, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, কাইরন পোলার্ড, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, সুনীল নারাইন, মোসাদ্দেক হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আবু হায়দার, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ শহীদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি