বিপিএলে অংশ নিতে ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল হাফিজের। তবে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তৃতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ হওয়া এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশে এসে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
বিপিএলে না খেলার কারণ সম্পর্কে হাফিজ জানান, ‘কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল খেলতে আমি বাংলাদেশে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি লাহোরে থেকে আমার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করতে চাই। আইসিসির অধিভুক্ত ল্যাবরেটরিতে বায়োমেকানিক পরীক্ষা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করতে চাই। ’
তিনি আরও জানান, ‘আমার অ্যাকশন নিয়ে কেন আবার প্রশ্ন উঠল তা খুঁজে বের করে শুধরিয়ে ফেলব। আমার জন্য সামনের নিউজিল্যান্ড সফর এবং পাকিস্তান সুপার লিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের হয়ে আগামী বছর অনেক ক্রিকেট খেলার আছে। ’
অফস্পিনার হাফিজের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হিসেবে মূল্যায়ন হওয়ার পর তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইসিসি। গত মাসে আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। গত ১ নভেম্বর আইসিসি স্বীকৃতি ইংল্যান্ডে লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি। রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে বেশিরভাগ বোলিং ডেলিভারিতেই হাফিজের কনুই বাঁকানোর মাত্রা ১৫ ডিগ্রি অতিক্রম করে। যা আইসিসির নিয়মের লঙ্ঘন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয়বার বোলিং থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে ৩৭ বছর বয়সী হাফিজকে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে নিষিদ্ধ থাকেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আইসিসির ছাড়পত্র পান। কিন্তু কয়েক মাস পরেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের পর ফের হাফিজের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হয়। পরে আবারো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাসের মধ্যে দু’বার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ার শাস্তিস্বরূপ ১২ মাসের জন্য বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরপি