টস জিতে মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে রাজশাহী ১৬৭ রানের টার্গেট দেয় খুলনাকে।
আর এই জয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে খুলনা। সাত ম্যাচ খেলে চারটি জয়, দুটি পরাজয় আর একটি ম্যাচের পয়েন্ট ভাগাভাগিতে খুলনার সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, সাত ম্যাচের দুটিতে জিতলেও সর্বোচ্চ ৫টি ম্যাচ হারা রাজশাহী ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের ছয় নম্বরে। এক ম্যাচ কম খেলা চিটাগং ভাইকিংস ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে।
দু’দিন বিরতির পর শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে রংপুর-খুলনা ম্যাচ দিয়ে বিপিএলের পঞ্চম আসরের তৃতীয় ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হবে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর ওপেনার মুমিনুল হক করেন ৫ রান। দ্রুত বিদায় নেন ড্যানিয়েল (০) এবং জাকির হাসান (০)। তবে, আরেক ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ নিজের মতোই ব্যাট চালান। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৬২ রান। ঝড়ো ইনিংস খেলতে এই ক্যারিবীয়ান ৩৬ বল মোকাবেলা করেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর ৪টি ছক্কার মার।
৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা মুশফিক নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ৩৩ বলে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কায় করেন ৫৫ রান। রাজশাহীর দলপতি ড্যারেন স্যামি (৩) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৩) টিকতে পারনেনি। মোহাম্মদ সামি জুনাইদ খানের চতুর্থ শিকারে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রান করে। জেমস ফ্রাঙ্কলিন ২৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার আবু জায়েদ ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় তুলে নেন ২ উইকেট। পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খান ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় তুলে নেন ৪ উইকেট। আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ২৩ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট। কার্লোস ব্রাথওয়েইট ৪ ওভার বল করে ৩৩ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট। শফিউল ইসলাম, সেকুজে প্রসন্ন কোনো উইকেট পাননি। ১৬৭ রানের টার্গেট ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন ব্যক্তিগত ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার রিলে রুশো ১৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেন ২০ রান। সেকুজে প্রসন্ন (৬), আফিফ হোসেন (৫), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), জেমস ফ্রাঙ্কলিন (১২), শফিউল (৫) দ্রুত বিদায় নেন।
খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরে খেলছিলেন। তবে, ৪৪ বলে ৮টি চার আর একটি ছক্কায় ৫৬ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকে। রাজশাহীর মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন আরিফুল হক। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে ৪টি চার আর দুটি ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। ১৯.২ ওভারে জয় তুলে নেয় খুলনা। রাজশাহীর পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামি ৪ ওভারে ২৯ রানে পান ৩ উইকেট। হোসাইন আলি ৪ ওভারে ৩৮ রানে পান ১ উইকেট। ফ্রাঙ্কলিন ৪ ওভারে ৩০ রানে পান ২ উইকেট। মেহেদি হাসান ৩ ওভারে ২৪ রানে পান ১ উইকেট। ডোয়াইন স্মিথ ২.২ ওভারে ২৬ রানে পান ১ উইকেট। নাঈম ইসলাম জুনিয়র কোনো উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরপি