ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

বাড়তি সুযোগ পেতে ঢাকার লক্ষ্য ‘দুই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
বাড়তি সুযোগ পেতে ঢাকার লক্ষ্য ‘দুই’ ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিপিএলের চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে ১১ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান করছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস। গ্রুপ পর্বে দলটির বাকি আর একটি ম্যাচ। যেখানে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হলেও টেবিলের শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ তারা আর পাচ্ছে না।

কেননা তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যেই টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে দুইয়ে থেকেই তাদের প্লে অফ খেলতে হচ্ছে।

এক্ষেত্রে আবার শর্ত আছে। খুলনা এবং রংপুর তাদের শেষ ম্যাচে হেরে যায় এবং ঢাকা জয় পায় তাহলে হিসেবটা অন্য। কেননা ৬ ডিসেম্বর রংপুর রাইডার্সকে হারাতে পারলে সাকিবদের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াবে ১৫তে। এদিকে ৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার বিপক্ষে খুলনা জিতলে তাদের পয়েন্টও বেড়ে দাঁড়াবে ১৫তে। কিন্তু ঢাকার চেয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তারা টেবিলে ঢাকাকে টপকাতে পারছে না।

তবে রংপুরের কাছে হেরে গেলে আবার তাদের দ্বিতীয়স্থান ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু এতসব হিসেব নিকেশে যেতে চাইছেন না ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ চারে গিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ের দিকেই তিনি নিশানা তাক করেছেন।

কেন? শেষ চারের লড়াইয়ে টেবিলের ১ ও ২ নম্বরে থাকা দল দুটি প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। এখান থেকে জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। তবে হেরে যাওয়া দলের আশা কিন্তু শেষ হয়ে যাবে না। কেননা এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের সাথে তাদের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ থাকছে।

ফলে টেবিলে নূন্যতম দুইয়ের নিচে নামতে চাইছেন না এই ডায়নামাইটস অলরাউন্ডার, ‘সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য রেসে এক বা দুইয়ে থাকা। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিততে পারলে আমরা নূন্যতম দুইয়ে থাকবো। দুইয়ে থাকলে আমাদের সুযোগ থাকবে বেশি। দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। তাই আমাদের মেইন ফোকাসটি ওদিকেই। ’

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে তিনি একথা বলেন।

মোসাদ্দেক এসময় কথা বলেন দলের বিদেশি প্লেয়ারদের ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স নিয়েও, ‘আমরা যে ম্যাচগুলো জিতেছি তার বেশির ভাগেই বিদেশিরা খেলে দিয়েছে। তাই ওদের ওপরই বেশি বিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। ওরা যেদিন পারফর্ম করছে সেদিন আমাদের রান অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। আর ওরা যেদিন খেলতে পারছে না আমাদের নিচের দিকে ব্যাকআপটি তেমন পাচ্ছি না। সেজন্যই আমার মনে হয় শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমরা হেরেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।