ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টির উপযুক্ত নয় মিরপুরের উইকেট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
টি-টোয়েন্টির উপযুক্ত নয় মিরপুরের উইকেট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিপিএলের চলতি আসরের শুরু থেকেই মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের বিরূপ আচরণ চোখে পড়েছে। বলে দুই রকমের বাউন্স, হঠাৎ হঠাৎ অস্বাভাবিক টার্ন আবার কখনও বা বল স্কিড করছে। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা বস্তুতই কঠিন হয়ে উঠেছে। উইকেটের এমন বিমাতাসুলভ আচরণে রীতিমতো ব্যাটসম্যানের বদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছে হোম অব ক্রিকেটের এই উইকেট।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি এবং শ্বাসরুদ্ধকর এক একটি ম্যাচ উপভোগ করতেই টাকা দিয়ে টিকিট কিনে ক্রিকেটপ্রেমীরা মাঠে খেলা দেখতে আসেন। কিন্তু মাঠে আসার পর যখন তারা দেখেন মাত্র ৬৭, ৯৭ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যাচ্ছে তখন নিশ্চয়ই তাদের আর মাঠে এসে খেলা দেখার আগ্রহ থাকে না।

বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট ও চট্টগ্রাম পর্বে যে রান উৎসব চোখে পড়েছে তা মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচে একেবারেই অনুপস্থিত। আরও নির্দিষ্ট করে বললে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদের প্রতিটি ম্যাচেই গড়ে ১৭০-১৮০ করে রান এসেছে। বিপিএলের এবারের আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও (২১৩) সেখানে।

সিলেটের গড় অতটা বেশি না হলেও মিরপুরের মতো এতটা রানখরা ছিল না। আটটি ম্যাচের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৩৫ রান। আর সর্বোচ্চ ২০২ রান। যেখানে মিরপুরের চিত্র সম্পূর্ণই উল্টো। রান উৎসব দূরে থাক, টি-টোয়েন্টিতে স্বাভাবিক যে রান (১২০-১৪০) তাই বা এখানে আসছে কই? ঢাকার প্রথম পর্বে ব্যতিক্রম ছিল একটি বা দুটি ম্যাচ (ঢাকা ডায়নামাইটসের ২০১ রান)। কিন্তু ব্যতিক্রম তো আর উদাহরণ হতে পারে না।

যদি বলা হয় এমন স্বল্প রানের এক একটি ইনিংসের জন্যই সিলেট ও চট্টগ্রামের তুলনায় মিরপুরের দর্শক সমাগম বেশি হয় সেটা এতটুতকুও বাতুলতা হবে না। মিরপুরের বন্ধ্যা উইকেট নিয়ে শনিবারের (২ ডিসেম্বর) ম্যাচ শেষে বিষাদগার করেছেন কুমিল্লা দলপতি তামিম ইকবাল ও রংপুর দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজাও। তামিম তো ‘জঘন্য’ই বলে বসলেন।

এবার উইকেট নিয়ে সরব হলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্যারিবীয় স্পিন অলরাউন্ডার সুনীল নারাইণ। বললেন, ‘মিরপুরের উইকেট দেখে আমি বিস্মিত। যদিও আমি এখানে বল করে অভ্যস্ত। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এটি মোটেও আদর্শ উইকেট নয়। ’

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন শেষে তিনি একথা বলেন।

বিপেএলে ঢাকার জার্সি গায়ে সুনীল নারাইণের সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে। ৯ ম্যাচে বল করে পেয়েছেন ৯ উইকেট। সমান সংখ্যক ম্যাচে তার রান ১৭৩। তাই বলাই যায় বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তিনি দারুণ সাবলীল।

কিন্তু এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার শোনালেন অন্য কথা। ব্যাটিংয়ের চেয়ে নাকি বোলিংয়েই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, ‘আমি বোলিংই বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া ঢাকার উইকেট স্পিনারদের জন্য মোটামুটি ভালো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।