সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের বিশেষত্বই প্রাধান্য পাবে। এমনও হতে পারে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় দলে জায়গা পেলেন এনামুল বিজয় কিংবা নবাগত সাদমান ইসলাম অনিক।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচের বিরতিতে একথা বলেন মাশরাফিদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
সুজন বলেন, ‘চমক তো থাকবে না। আমাদের প্রয়োজনে আমরা কম্বিনেশন সাজাবো। এক একটি প্লেয়ারের এক একটি আলাদা বৈশিষ্ট আছে। এক একজন এক এক রকমের। তো ওই বৈশিষ্টমন্ডিত বিশেষত্ব অনুযায়ীই দল হবে। আপনি যদি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেন, ওয়ানডে ফরম্যাটটা হচ্ছে ১-১০ ওভার, ১১-৪০ ও ৪০-৫০ ওভার তিনটা পাওয়ার প্লে। প্রথম দশে দুইজন, পরেরটাতে ৪ জন ও পরেরটা ৫ জন। প্রথম দুইজনের মধ্যে নতুন বলে কে আমাদের উইকেট টেকার, মাঝখানে যে চার ফিল্ডার থাকবে সেখানে কোন বোলার আমাদের রক্ষা করতে পারবে বা উইকেট নিতে পারবে ওই রকম চিন্তা করেই আমরা আগাচ্ছি। ’
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ে ছাড়াও বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। কিন্তু হালে কিছুটা ছন্দহীনতায় ভুগছে দলটি। সম্প্রতি ভারত সফর থেকে তেমন সুখকর কোনো স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি। তারপরেও লঙ্কানদের বেশ সমীহের চোখেই দেখছেন সুজন।
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সব সময়ই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। একটা দুইটা পারফরম্যান্স দেখে ওদের বিচার করা ঠিক হবে না। ভেরি কম্পেটেটিভ সাইড। ’
তাতে অবশ্যই দমে যাচ্ছেন না লাল-সবুজের এই টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। বরং ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন। ‘অবশ্যই আমাদের মাটিতে আমাদের ওপরে বিশ্বাস আছে। আমরা ভাল দল। গত তিন সাড়ে তিন বছর হোম কন্ডিশনে ভাল ক্রিকেট খেলছি। তো ওই বিশ্বাসটা আমাদের আছে। আমি মনে করছি দারুণ একটা সিরিজ হবে এবং এই টুর্নামেন্ট জেতার সামর্থ আমাদের আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ৬ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস