ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইচ্ছে তো করে দেশের হয়ে সব ম্যাচ খেলি: তাসকিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৮
ইচ্ছে তো করে দেশের হয়ে সব ম্যাচ খেলি: তাসকিন তাসকিন আহমেদ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মার্চে শ্রীলঙ্কায় তিন জাতির নিদাহাস ট্রফির পর দু দুটি সিরিজ শেষ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রি‌কেট দল। এর একটি গেল মে‘তে দেরাদুনে অনুষ্ঠিত আফগান সিরিজ। আর অপরটি এ মাসের চার তারিখ থেকে অনুষ্ঠেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। যেখানে অনুপস্থিত টাইগারদের গতি তারকা তাসকিন আহমেদ।

নিদাহাস ট্রফি খেলতে গিয়ে পিঠে ব্যথা পাওয়ায় উল্লেখিত সিরিজ দুটোতে দলে ঠাই মেলেনি তার। সতীর্থরা যখন দেশের হয়ে মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে তিনি তখন ব্যস্ত থেকেছেন নিজের পুনর্বাসন নিয়ে, নিজের সাথে হার না মানা লড়াইয়ে।

দেশের হয়ে খেলতে না পারার এই বিষয়টিই তার জন্য আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আছে না বলা কষ্টও।

'ইচ্ছে তো করে বাংলাদেশের হয়ে সব জায়গায় সব ম্যাচ খেলি। ইনজুরড থাকলে তো কিচ্ছু করার থাকে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যখন বাংলাদেশ দল গেল টেস্ট খেলতে আমি ইনজুরির কারণে যেতে পারলাম না। ওই দিনটায় আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল, সারাটাদিনই। হয়তো বাসায় অনেকসময় বুঝতেও দেই না। আমার কারণে দেখা যায় ফ্যামিলির সবার মন খারাপ হয়ে যায়। '

তবে হাল ছাড়ছেন না অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট শিকারি এই ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার। কঠোর পরিশ্রমে ইনজুরি বাধা পেরিয়ে আবার স্বরূপে মাঠে ফিরে পরিবারের মুখে হাসি ফেরাতে চাইছেন।

'আমি বিশ্বাস করি একমাত্র কঠোর পরিশ্রমই সবকিছু পূরণ করতে পারে। '

সেই লক্ষে অবশ্য অনেকটাই এগিয়েছেন তাসকিন। পিঠের ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার নিরলস প্রচেষ্টায়রত এই স্পিডস্টার এখন বল করতে পারছেন! প্রায় ৪ মাস পর সোমবার (২ জুলাই) পর্যন্ত দুপুরে প্রথম বল করেছেন।

অনুমিতভাবেই ফুল রানআপে নয়। তিন কদম দৌড়ে এসে। ওভারের সংখ্যাও খুব বেশি নয়, ৪ টি। সাড়ে ৪ মাস নেয়াহাৎ কম নয়। কিন্তু তারপরেও লাইন, লেংথ যেটুকু বজায় রাখতে পেরেছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট। সন্তুষ্টি আছে ৭৮ ভাগ ইন্টেনসিটি নিয়েও।

'ঢাকা লিগের পর প্রায় চার মাস পর বোলিং করলাম। শুকরিয়া আল্লাহর কাছে বোলিংয়ে আবার নামতে পারছি। আজকে তিন স্টেপে মানে শর্ট রানআপে বোলিং করলাম। সমস্যা হয়নি চার ওভার বোলিং করলাম। জিম রিহ্যাব ট্রিটমেন্ট সবই করতেছি। ইনজেকশন দেয়ার পর একটু চিন্তিত ছিলাম এখন আসলে অনেক কিছু করতে হবে। যেমন ফুল রানআপে বোলিং করতে হবে। কিছু ট্রেনিং করতে হবে তারপর বোঝা যাবে অবস্থানটা কী। এখন পর্যন্ত ভালোই যাচ্ছে। আশা করি ভালই থাকবে। '

ভাল থাকলেই ভালো। তাতে করে তার পরিবারের পাশাপাশি লাল সবুজের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তের মুখেও হাসির ফোয়ারা ছুটবে। আবার জয়ের উল্লাসের উপলক্ষ ফিরবে টাইগার শিবিরে। নির্ভার থাকবেন কোচ, ক্যাপ্টেন ও টিম ম্যানেজমেন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ০২ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।