কক্সবাজারে আজ বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ ড্র করেছে ঢাকা-সিলেট। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, সবার নজর ছিল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা সিলেট অধিনায়ক রাজিনের দিকে।
দিনের শুরুতে নাইটওয়াচম্যান এনামুল হক জুনিয়রের (৫) উইকেট হারানোর পর জাকের আলীকে নিয়ে (৭৭*) রানের চাকা সচল রাখেন রাজিন। তবে দলীয় ১৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে রাজিনের বিদায়ে ৭২ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। তবে শাহানুর রহমানকে নিয়ে (৭০*) দিন পার করে দেন জাকের। এরপর সিলেটের রান যখন ৩০০ ছাড়ায়, ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিভাগের হয়ে ২ উইকেট করে পেয়েছেন শহাদাত হোসেন ও শুভাগত হোম। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মোশাররফ হোসেন ও তাইবুর রহমান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল (৭ নভেম্বর) ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল সিলেট। ক্রিজে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক রাজিন সালেহ। আজ সেই রানকে বাড়িয়ে নিয়ে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে সেখানেই থেমে যাননি, বরং ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে শুভাগত হোমের বলে বোল্ড হলে ইতি ঘটে ২৯৭ মিনিট ধৈর্য ধরে ২২৪ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৬৭ ও ৮৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজিন সালেহ।
রাজিনের অবসরের মাধ্যমে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। দেশের অভিষেক টেস্টের স্কোয়াডে থাকা রাজিন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। ২০০০ সালে তার অভিষেক হয়। দেশের হয়ে তার অভিষেক হয় ২০০৩ সালে। ২০০৮ পর্যন্ত টানা খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ২৪ টেস্টে ৭ ফিফটিতে তার সংগ্রহ ১১৪১ রান। ৪৩ ওয়ানডেতে তার সংগ্রহ এক সেঞ্চুরিতে ১০০৫ রান।
২০০৮ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন নিয়মিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪৮ ম্যাচ খেলে রাজিনের মোট রান ৮৪৮১, গড় ৩৬.০৮। সেঞ্চুরি আছে ১৮টি আর ফিফটি ৪৪টি। সর্বোচ্চ স্কোর ২০১*।
এদিকে বগুড়ায় খুলনা ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার প্রথম স্তরের ম্যাচও ড্রয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার দেওয়া ২৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে রংপুর ১৮৪ রান সংগ্রহ করতেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। রংপুরের হয়ে ফিফটি ছুঁয়েছেন মেহেদি মারুফ ও রাকিন আহমেদ। আর বল হাতে খুলনার মেহেদি হাসান তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ড্রয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচও। ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করতেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে ৬ বছর পর রেকর্ড ছুঁয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিভাগ। বরিশাল বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সবচেয়ে বেশিবার (৬ বার) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচএম