৪০৭ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় এমন কীর্তি গড়েন তিনি। মুশফিকের আগের ডাবল সেঞ্চুরিটি ছিল ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বরাবর ২০০ রানের ইনিংস।
মুশফিক শেষ পর্যন্ত ৪২১ বলে ১৮টি চার ও একটি ছক্কায় ২১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অষ্টম উইকেট জুটিতে তিনি মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন।
এদিকে ২১৯ রান করে মুশফিক আবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিকও হলেন। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ২১৭ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ ছিল। এছাড়া মুশফিক এদিন সর্বোচ্চ বল মোকাবেলাও দেশের হয়ে রেকর্ড গড়েন। আগে যা ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের (৪১৭)। মুশফিকের পাশাপাশি ১০২ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৮ রানের অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাইল জারভিসের বলে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১০ বলে ৩টি চারে ৩৬ করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তিনি ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান করেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুল হক। কাইল জারভিসের বলে চারিকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ক্যাচ দেন তিনি। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন জিম্বাবুইয়ান ফাস্ট বোলার।
মিরপুর শের ই বাংলায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করে টাইগাররা।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরির পর ১৬১ রানে বিদায় নেন মুমিনুল। তবে পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকা মুশফিক ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস