সোমবার (১২ নভেম্বর) মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন।
মুশি বলেন, ‘আমি নিজেও বিশ্বাস করি আমি সমর্থ।
মুশফিক সাদা পোষাকে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের দেখা পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে গলে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ২০০ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। এর ৫ বছর পরে ঢাকায় খেললেন অপরাজিত ২১৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। শুধু অসাধারণ কেন, দুর্দান্ত, নান্দনিক, দায়িত্বশীল, লড়াকু সব বিশেষণই দারুণভাবে মানিয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের ইনিংসের পাশে।
কেননা এই ইনিংসটি তাকে 'রেকর্ড বয়' বানিয়ে দিয়েছে। কীভাবে? ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করার অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম। আর এই ইতিহাস গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের মতো কিংবদন্তিদের। বাংলাদেশেরও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি টেস্ট ডাবলের দেখা পেয়েছেন তিনি।
এই ডাবলেই আরো একটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন এই টাইগার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সাদা পোষাকে হোম অব ক্রিকেটের এই ভেন্যুতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই এত রান সংগ্রহ করতে পারেননি। তিনিই প্রথম। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ১৬১ রান নিয়ে গতকালই তামিম ইকবালকে (১৫১ রান) টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন মুমিনুল হক। যা একদিনের ব্যবধানেই টপকে গেলেন মুশফিক।
মুশফিকের অর্জনের শেষ এখানেই নয়। এই সংগ্রহ তাকে নিয়ে গেল এই ভেন্যুতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ৪ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ২০১২ সালে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শিব নারায়ণ চন্দরপল (অপরাজিত ২০৩)। এর দুই বছর পর একই সংগ্রহ পেয়েছিলেন লঙ্কান গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনে। আর ২০১৫ সালে ২২৬ রানের ইনিংস নিয়ে এই মাঠে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের আজহার আলী।
এতকিছু যিনি নিজের করে নিয়েছেন, তার পক্ষে নিশ্চয়ই ট্রিপল সেঞ্চুরি আহামরি কিছু না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম