ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

উল্টো মিরাজই মুশফিককে অভয় দিয়েছেন!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
উল্টো মিরাজই মুশফিককে অভয় দিয়েছেন! সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মুশফিক-ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একটি ক্রিকেট ম্যাচে উইকেটের এক প্রান্তে সিনিয়র ও অপর প্রান্তে জুনিয়র ব্যাটসম্যান থাকলে যেটা হয়; ভালো ইনিংস খেলতে জুনিয়রকে সাধারণত সিনিয়রই উৎসাহ যোগান ও অভয় দিয়ে থাকেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মুশফিক যখন ২শ রানের পথে, তখন উল্টো তাকে প্রেরণা যুগিয়েছেন এবং অভয়ও দিয়েছেন ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা তার জুনিয়র মেহেদি হাসান মিরাজ। বিষয়টি দারুণ উপভোগ করেছেন মুশফিক।

সোমবার (১২ নভেম্বর) দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ মজার ছলে সেকথাই জানালেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশি।
 
মাঠে মিরাজের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করেন জানিয়ে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘মিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং আমি সব সময় উপভোগ করি।

ও প্রাণবন্ত একজন সঙ্গী। ও খুব মজার একটা চরিত্র। ওর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠে থাকা সব সময়ই উপভোগ্য। ও আমাকে যেভাবে বোঝাচ্ছিল মনে হচ্ছিল, ও দুইশ রানে ব্যাট করছে, আমি মাত্র ক্রিজে এসেছি। ' 

'ওর সঙ্গ সব সময়ই উপভোগ্য। আমি সব সময়ই বলি, ওর মাঝে অমিত সম্ভাবনা আছে। ওর মনোযোগ আর প্রত্যয় ওর সবচেয়ে বড় ব্যাপার। অনেক সময় হয়তো বাজে শটে আউট হয়ে যায় কিন্তু আজকে যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে ও আগামী দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে। ’
 
'আমি ওকে এগুলোই বলার চেষ্টা করি। ও কিন্তু সবই জানে। একটা দূরের বল খেললে বলে "ভাই আমি তো দূরের বল খেলে দিসি। " আমি বলি, তুই তো জানিস, তাও কেন খেলিস। ও খুব মজার ছেলে। ওর সাথে ব্যাটিং করতে আমার সব সময়ই মজা লাগে। ' 
 
'আর একটা ব্যাপার ভালো লাগছে, টেস্টে ওর দুইটা ফিফটি, দু'বারই ওর সাথে আমি ক্রিজে ছিলাম। আর একটা ও মিস করেছে। গলে আমাদের প্রথম টেস্টে মনে হয় ৪৫ রান করেছিল। ওই ম্যাচে আমার একশ মিস হয় ওর কারণে। কারণ, ও আউট হয়ে যাওয়ার পর আমি আর কোনো পার্টনার পাইনি। আজকে ওকে বলছিলাম, আমার দুইশ হওয়া পর্যন্ত অন্তত তুই থাকিস। ’
 
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর ৭ম উইকেটে মুশফিককে সঙ্গ দিতে আসেন আরিফুল হক। দুঃখজনকভাবে তার ইনিংসটিও বড় হয়নি। ৩৭৮ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে জার্ভিসের ৫ম শিকার বনে আরিফুল ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। ব্যক্তিগত ২শ রান থেকে মুশফিক তখন ৫৫ রান দূরে। বলার অপেক্ষা রাখে না, উইকেটছাড়া হয়ে দুটি শঙ্কার জন্ম দেন আরিফুল। প্রথমটি বাংলাদেশের ৪শ হওয়া নিয়ে। আর দ্বিতীয়টি হলো, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ২শ রানের পথে সঙ্গী খুঁজে পাবেন তো মুশফিক?
 
৮ম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে সব শঙ্কা অনেকটাই দূরিভূত হলো। এরপর দুজনের সতর্ক ব্যাটে টাইগার শিবিরে ধরা দিল ৪শ রান। মুশফিক তখন ডাবল থেকে ৪৯ রান দূরে। অবশেষে চা পানের বিরতির পর তাও ধরা দিলো।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটসম্যান ব্যাটে ছিলেন। এরপর মুশফিকের অপরাজিত ২৯১ ও মিরাজের অপরাজিত ৬৮ রানে টাইগারদের সংগ্রহ যখন ৭ উইকেটে ৫২২ রান, ঠিক তখন ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক শিবির।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।