২০০১ সালের ৮-১২ নভেম্বর মিরপুরে প্রথম টেস্টটি ড্র করলেও ১৫-১৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিম্বাবুয়ে ঠিকই নিজেদের করে নিয়েছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ওই শেষ।
গেল ৩-৬ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্বেটডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি লালচাঁন রাজপুতের শিষ্যরা ১৫১ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে দ্বিতীয়টিতে এসে মিরপুরে হেরে যায় ২১৮ রানে। তবে যেভাবে লড়াই করেছে তাতে সেই হারে গ্লানি থাকার কথা নয়। ম্যাচটি গড়িয়েছে ৫ম দিনে। যা তাদের সিরিজ ড্র’র তৃপ্তি এনে দিয়েছে।
আর এই বিষয়গুলোই সিরিজের সবচাইতে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন জিম্বাবুইয়ান দলপতি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে সেকথাই জানালেন জিম্বাবুইয়ান দলপতি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দুটি টেস্টেই আমরা যেভাবে খেলেছি সেটা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার। আমরা বুঝেছি যে দল হিসেবে কি করতে পারি। এটা ভবিষ্যতে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে এবং এটা আমাদের জন্য বড় একটি শিক্ষাও। আমরা দেখিয়েছি বিদেশে আমরা কি করতে পারি। ’
মিরপুরে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৭ উইকেট হারিয়ে ৫২২ রানের বিশাল সংগ্রহের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর তাদের ফলোঅন না করিয়ে নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ের সামনে ৪৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের শেষ ইনিংসে ২২৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২১৮ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সিরিজ সমতায় শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম