চতুর্থ দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ইংল্যান্ড। সেই লক্ষ্যেই রোববার (১৮ নভেম্বর) পঞ্চম ও শেষ দিন সেই সুবাস পরিণত হলো উল্লাসে।
এদিন সকালে মাত্র ১৮ রান যোগ করেই অল আউট হয়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় জো রুটের দল।
এর আগে ২০০১ সালে সর্বশেষ তাদের মাটিতে লঙ্কাকে হারানোর স্মৃতি ইংলিশদের। আর এশিয়ার মাটিতে এল ৫ বছর পর জয়। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ জয় দেখেছে ইংল্যান্ড।
আর এই উপমাহাদেশের মাটিতে স্পিনে রেকর্ড করেই এই জয় এলো ইংল্যান্ডের ঘরে। উপমহাদেশের মাটি স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দেয় এই দাবিকে আরও পোক্ত করলো ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার মাটিতে, শ্রীলঙ্কারই সাজানো স্পিন গালিচায়, নিজেদের স্পিনারদের দিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় সফরকারী ইংল্যান্ড।
ম্যাচে লংকানদের দুই ইনিংসে মোট ২০ উইকেটের ১৯টিই নেয় ইংল্যান্ডের স্পিনাররা আর বাকি একটি হয় রান আউট। অপদিকে ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসের ১৯ উইকেটের সবকটিই নেয় লঙ্কান স্পিনাররা। আর এতেই হয় বিশ্বরেকর্ড!
টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো ম্যাচে ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৮টিই নিলেন স্পিনাররা। বাকী ২ উইকেটের একটি রান আউট ও একটি নেন মিডিয়াম ফাস্ট বোলার সুরঙ্গা লাকমল।
দুই ইনিংসে ইংলিশ স্পিনারদের মধ্যে জ্যাক লিচ নেন ৮টি (৩+৫), মঈন আলি ৬টি (২+৪), আদিল রশিদ ৪টি (৩+১) ও জো রুট নেন ১টি উইকেট। লঙ্কান স্পিনারদের মধ্যে দিলরুয়ান পেরেরা ৭টি (৪+৩), আকিলা ধনঞ্জয়া ৮টি (২+৬) ও মালিন্দা পুষ্পকুমারা নেন ৪টি (৩+১) উইকেট।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এর আগে এক ম্যাচে স্পিনারদের নেয়া সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছিলো ৩৭টি। ১৯৬৯ সালে ভারতের নাগপুরে স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে হয় সে রেকর্ড। তালিকায় পরের তিনটি রেকর্ডও ভারতের মাটিতেই।
১৯৫৬ সালে নাগপুর টেস্টে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা ৩৫টি, ১৯৮৭ সালে ব্যাঙ্গালুরু টেস্টে ভারত ও পাকিস্তানের স্পিনাররা ৩৫ এবং ২০১৫ সালের মোহালি টেস্টে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা মিলে ৩৪টি উইকেট তুলে নেন।
এ তালিকায় আছে বাংলাদেশের ম্যাচও। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ ও সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার মিলে তুলে নেয় ৩৪টি উইকেট। সে ম্যাচে স্বাগরিক বাংলাদেশ ২০ রানের জয় পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এমকেএম