ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

ক্রিকেট

চ্যালেঞ্জটা সাকিব ভালো করেই জানেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
চ্যালেঞ্জটা সাকিব ভালো করেই জানেন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে সাকিব-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ৬৪ রানে হারের পর ক্যারিবিয়ানরা ঢাকা টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে খেলবেন সেই হুঁশিয়ারি বুধবারই উচ্চারণ করেছেন দলের বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান।

বলেছেন, দুই ম্যাচ সিরিজের এই টেস্টে অন্তত একটি জয় নিয়ে তারা দেশে ফিরবেন। তাহলে তো হয়েই গেল।

দুইয়ে দুইয়ে চারের সহজ সমীকরণ মিলে গেল। সেটা কি? সাকিব তো বটে গোটা বাংলাদেশ শিবিরও দলটির অব্যক্ত সেই পরিকল্পনা জেনে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএমতাস্থায় করণীয় একটাই আর সেটা হলো, ৩০ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচটিতে স্বাগতিক শিবিরকে চট্টগ্রামের চাইতেও ক্ষুরধার হতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই নিজেদের সেরা খেলাটি খেলতে হবে।

আশার কথা হলো টাইগার দলপতি সেই কথাটিই বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন। ঘরের মাটিতে প্রথমবারের মতো দলটিকে হোয়াইটওয়াশের যে সুবর্ণ সুযোগ উঁকি দিয়েছে সেটা কাজে লাগাতে চান।

‘হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ আছে। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমি যেটা আগেও বলেছি যে স্বাভাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরো বেশি ভালো করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে এবং চেস্টা করবে ওদের সর্বোচ্চটা দিয়ে এই ম্যাচটা ভাল খেলতে পারে এবং জিততে পারে। তাই আমাদের জিততে হলে আরো ভাল পারফর্ম করতে হবে। সেটা আমরা চট্টগ্রামে যে ধরনের পারফর্ম করেছি তার থেকেও ভাল পারফর্ম করতে হবে। আমাদের নিজেদের ওপরেও নিজেদের একটা চ্যালেঞ্জ আছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা ওভারকাম করতে পারবো। কিন্তু তারজন্য আমাদের শারিরীক ও মানসিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হবে। ’

‘অবশ্যই জেতার জন্য খেলবো আমরা। যদি ওইরকম কোন অবস্থা আসে যে ড্র করার সম্ভাবনা আছে হয়তো তখন চেস্টা করা যেতে পারে। কিন্তু প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই জেতার জন্য খেলা। ’

বাঁহাতের কনিষ্ঠার চোট থেকে সের উঠতে না উঠতেই সাইডস্ট্রেনের ইনজুরিতে পড়ায় টেস্ট স্কোয়াডে ফেরা হয়নি লাল সবুজের ক্রিকেট স্তম্ভ তামিম ইকবালের। গেল টেস্টে ওপেন করা অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকেও এই টেস্টে দলে রাখা হয়নি। বাঁহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে চোট পাওয়া মুশফিকের ব্যাকআপ হিসেবে লিটন দাসকে বগুড়া থেকে ডেকে ঢাকায় আনা হলেও যদি তিনি কিপিং করেন তাহলে তার ওপিনংয়েরে সম্ভাবনা একবোরেই নেই সেকথা সাকিব নিজেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন। তাহলে তো অবধারিতভাবেই একথা বলা যায় ব্যাট হাতে স্বাগতিকদের গোড়াপত্তন করবেন অভিষিক্ত সাদমান ইসলাম অনীক ও সৌম্য সরকার।

তাহলে যেটা দাঁড়ায়,দুই ওপেনারই তরুণ। তাদের নিয়ে অভিজ্ঞ এই দলটির সঙ্গে খেলা কতটা সমীচীন হবে? অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথা ব্যাথা সাকিবের নেই। বরং তিনি তরুণদের জয়গানই গাইলেন। সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে সাকিব-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম‘খেলতে খেলতে এরাই হয়তো অভিজ্ঞ হয়ে যাবে। যেটা আমরা ভাল মনে করেছি, দলের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত সেটাই নেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় প্রেফার করি সবসময় যদি কোনো প্লেয়ারের ডেব্যু হয়, কিংবা খেলে তাকে যেন পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়। তার পোটেনশিয়াল কিংবা তার ট্যালেন্টটুকু প্রমাণ করার। ’

‘তারপরেও যদি সে ব্যর্থ হয় তখন তাকে বদলানো উচিৎ। ঘন ঘন বদলের পক্ষে আমিও না। আমিও মনে করি না এটা কোনো ভাল বার্তা দেয়। কিন্তু দিন শেষে আমরা সবসময়ই চাই ম্যাচগুলো জিততে। তো ওই ম্যাচগুলো জেতার জন্য অনেকসময় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।